‘মুক্ত বিহঙ্গ’ ট্যুইটার অধিগ্রহণের পর ট্যুইট করলেন এলন মাস্ক

নিউজ ডেস্ক: কয়েক মাসের নাটকের যবনিকা পতন। অবশেষে সম্পন্ন হল ট্যুইটার কেনার চুক্তি। ৪৪ বিলিয়ন ডলারে কেনা হল ট্যুইটার। বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি এবং টেসলার সিইও এলন মাস্ক এখন ট্যুইটারের নতুন মালিক। আর তারই সঙ্গে সত্যি হল আশঙ্কা। কোম্পানির সিইও পরাগ আগরওয়াল সহ বেশ কিছু শীর্ষ আধিকারিককে বরখাস্ত করেন তিনি। এরপরই এলনের প্রথম ট্যুইট ‘মুক্ত বিহঙ্গ’। যা থেকে সহজেই বোঝা যায়, ট্যুইটারের পাখি মুক্ত হয়েছে।

সূত্রের খবর, ট্যুইটারের সিইও পরাগ আগরওয়াল, হেড অফ লিগ্যাল, পলিসি অ্যান্ড ট্রাস্ট বিজয়া গাড্ডে, চিফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার নেড সেহগাল এবং অন্যান্য শীর্ষ আধিকারিকদের কোম্পানি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই সান ফ্রান্সিসকোর সদর দফতরও ত্যাগ করেছেন তাঁরা। এরই মধ্যে কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে, প্রায় ৭৫ শতাংশ কর্মীকে ছাঁটাই করার পরিকল্পনা করেছেন ছলন। ট্যুইটার অধিগ্রহণ করেই ছাঁটাইপর্ব শুরু হতেই, সংস্থার কর্মীদের কপালে চিন্তার ভাঁজ।

ট্যুইটার অধিগ্রহণ করেই এলন মাস্ক জানিয়েছেন, ‘কেন আমি ট্যুইটার অধিগ্রহণ করলাম সে ব্যাপারে সকলকে জানাতে চাই। আরও অর্থ উপার্জনের জন্য কিনিনি। মানবতার জন্য কিনেছি। মানবতার ভবিষ্যৎ এমন হওয়া উচিত যেখানে সমস্ত পক্ষের স্বাধীন মতামত প্রকাশের একটা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম থাকবে। সুস্থ পরিবেশে বিতর্ক হবে। বর্তমানে বিপজ্জনক পরিস্থিতি রয়েছে, যেখানে সমাজমাধ্যম কট্টর দক্ষিণপন্থী ও কট্টর বামপন্থীদের কয়েকটি গোষ্ঠীতে ভাগ হতে চলেছে। যা সমাজে ঘৃণা ও বিভাজন বাড়াবে।’

এলন মাস্ক চলতি বছরের ১৩ এপ্রিল ট্যুইটার কেনার ঘোষণা করে। ৪৪ বিলিয়ন ডলারে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটি কেনার প্রস্তাব দেন তিনি। কিন্তু তারপরে স্প্যাম এবং ভুয়ো অ্যাকাউন্টের অভিযোগ তুলে, তিনি সেই চুক্তিটি আটকে রেখেছিলেন। এরপর ৮ই জুলাই মাস্ক চুক্তি ভাঙার সিদ্ধান্ত নেন। এর বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয় ট্যুইটার। অক্টোবরের শুরুতে ফের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন ইলন এবং চুক্তিটি সম্পূর্ণ করতে সম্মত হন। আদালতের পক্ষ থেকে ২৮ অক্টোবরের মধ্যে চুক্তিটি শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তার আগেই ট্যুইটারের অফিসে পৌঁছে সবাইকে চমকে দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটি অধিগ্রহণ করেন এলন মাস্ক।

আরও পড়ুন : গুজরাট নির্বাচন: রবিবার ২২ হাজার কোটির প্রকল্প উদ্বোধন করবেন মোদি