নিউজ ডেস্ক : কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীর। ৭ অক্টোবর থেকে পায়ে হেঁটে অভিযান শুরু করেছে রাহুল গান্ধী। সময় যতই এগোচ্ছে ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’কে ঘিরে উত্তেজনা ততই বাড়ছে। এবার এই যাত্রায় অংশগ্রহণ করেছেন মধ্য কলকাতার একটি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক নওশীন বাবা খান। রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত না থেকেও, শুধুমাত্র রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে অনুপ্রাণিত হয়েই ভারত জোড়ো যাত্রায় সামিল হয়েছেন তিনি।
সম্প্রতি ভারত জোড়ো যাত্রায় অংশগ্রহণ করে, রাহুল গান্ধীর সঙ্গে কথা বলেন নওশীন বাবা খান। তিনি জানিয়েছেন, আমি যখন রাহুল গান্ধীর দলের কাছাকাছি ছিলাম, তখন চিৎকার করে বলেছিলাম, রাহুল স্যার, আমি কলকাতা থেকে এসেছি। আমি যদিও উত্তর আশা করিনি, কিন্তু আমাকে অবাক করে দিয়ে তিনি বলেন তাঁর কাছে যেতে। এরপর আমরা হাত মেলাই এবং আমি তাঁকে “অভিনন্দন” জানাই।
তিনি আরও জানিয়েছেন, রাহুল গান্ধীও আমাকে “ধন্যবাদ” জানান। কিন্তু আমি কেন তাঁকে অভিনন্দন জানালাম, তা আমি নিজেও জানি না। হতে পারে, পদযাত্রার মাধ্যমে তাঁর যে রাষ্ট্রনায়কের চরিত্র আমার চোখে ধরা পড়েছে, তার জন্যই এই অভিনন্দন বার্তা। তিনি যা করছেন তা করতে অনেক সাহসের প্রয়োজন। ক্রমাগত ব্যঙ্গ ও অপমানের সম্মুখীন হয়েও তিনি ভারতের উন্নয়নে মনোনিবেশ করেছেন।
নওশীন বাবা খান কংগ্রেসের সদস্য নন। কিন্তু তাও ভারত জোড়ো যাত্রায় সামিল হয়েছেন, কারণ কংগ্রেস বেকারত্ব এবং মূল্যবৃদ্ধি, ধর্মের ভেদাভেদ সংক্রান্ত ইস্যুতে সরব হয়ে এই যাত্রা শুরু করেছে। নওশীন জানিয়েছেন, আমি ভেবেছিলাম ভারত জোড়ো যাত্রা শুরুর কয়েকদিন পর প্রাথমিক উচ্ছ্বাস ম্লান হয়ে যাবে। কিন্তু এতোদিন পরেও উচ্ছ্বাস বেড়েই চলেছে। আমার মনে পড়ে না, ভারতে শেষ কবে এরকম কিছু ঘটেছে।
আরও পড়ুন : ডলার কি আরও শক্তিশালী হল? টাকার রেকর্ড পতনে কটাক্ষ বিরোধীদের
Leave a Reply