ইউ এন লাইভ নিউজ: গত কয়েক দিন ধরেই দ্বন্দ্ব চলছে বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে। সোমবার সকাল থেকেই অচেনা ছন্দে টলিপাড়া। বন্ধ লাইট, ক্যামেরা,অ্যাকশন। খাঁ খাঁ করছে গোটা স্টুডিওপাড়া কোনো শোরগোল নেই। সপ্তাহের প্রথম দিনেই টলিপাড়ার অন্দরে ক্যামেরা বন্ধ। সোমবার সকাল থেকেই টলিপাড়ায় ধারাবাহিক থেকে শুরু করে সিনেমা, সমস্ত শুটিংই বন্ধ। কবে কাটবে এই অচলাবস্থা? কবে আবার পুরোনো ছন্দে ফিরবে টলিপাড়া?
এই নিয়েই বৈঠক ডাকা হয় সোমবার দুপুরে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের বালিগঞ্জের বাড়িতে। সেখানেই হাজির হন টলিপাড়ার পরিচালক-প্রযোজকেরা। যাঁদের মধ্যে রয়েছেন শ্রীকান্ত মোহতা, রাজ চক্রবর্তী, শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, গৌতম ঘোষ, বিরসা দাশগুপ্ত, সুদেষ্ণা রায়, অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরী, সুব্রত সেন-সহ অন্যরা।
পরিচালক রাজ্ চক্রবর্তী এই বৈঠকে প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘রাহুলের কী হবে এই প্রশ্ন এখন সবার মুখে। আমরা পরিচালকেরা এই বিষয় নিয়ে চিন্তিত। আশা করছি টেকনিশিয়ান বন্ধুদের সহযোগিতা পাব।’’
রাহুল মুখোপাধ্যায়ের উপর থেকে ডিরেক্টর্স গিল্ড তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছিল শুক্রবারই। কিন্তু টেকনিশিয়ানরা তাদের সিদ্ধান্তে অনড়। তাঁরা রাহুলের সঙ্গে কাজ করবেন না বলে ঠিক করেই নিয়েছে। শনিবার, ২৭ জুলাই রাহুল মুখোপাধ্যায়ের পরিচালনায় একটি পুজোর বাংলা ছবির শুটিং টেকনিশিয়ান স্টুডিয়োয় ছিল। ফেডারেশনের আওতাভুক্ত কলাকুশলীরা রাহুল মুখোপাধ্যায়ের পরিচালনার জন্য সেই শুটিংয়ে উপস্থিত হননি। ফলে শুটিং সম্পূর্ণ বন্ধ ছিল। এবং ওখানে উপস্থিত পরিচালক, অভিনয়শিল্পী— সকলেই অপমানিত হন এমনটাই শোনা যায়। তার পরই সোমবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতির পথে পরিচালকেরা। রবিবার রাতে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ডিরেক্টর্স গিল্ড জানিয়েছে, “অধিকাংশ পরিচালক সদস্যের আবেগ ও মতামতকে গুরুত্ব এবং মান্যতা দিয়ে সংগঠনের কার্যকরী সমিতি আগামী কাল ২৯ জুলাই থেকে যত দিন পর্যন্ত না পরিচালকদের সমস্যার সমাধান হচ্ছে তত দিন পর্যন্ত বাংলা ভাষার সমস্ত শুটিং ফ্লোরে সদস্যদের অনুপস্থিত থাকতে অনুরোধ করছে। বাংলা ভাষা ছাড়া অন্য ভাষার ক্ষেত্রে এই অনুরোধ প্রযোজ্য নয়।”
Leave a Reply