TMC’s Brigade: ‘আগামীর রায় বিরোধীরা বিদায়’, ব্রিগেডের মঞ্চ থেকে হুংকার অভিষেকের

ইউ এন লাইভ নিউজ ডেস্ক: ব্রিগেড ময়দান জুড়ে চারিদিকে কালো মাথার থিক থিকে ভিড়। সেই ভিড়ের মাঝে ব়্যাম্পে হাঁটতে হাঁটতে বাংলা থেকে বিরোধীদের বিদায়ের আওয়াজ তুললেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

অভিষেকের এদিনের সভা থেকে গর্জন, ‘আপনারা মোদির গ্যারান্টি চান, নাকি দিদির গ্যারান্টি চান?’ তাঁর কথায়, একাধিক কেন্দ্রীয় প্রকল্পে বিজেপি সরকার অর্থ বরাদ্দ বন্ধ করলেও রাজ্যের শ্রমিকদের অর্থ প্রদান করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই কারণেই, বাংলার মানুষ আগামী দিনে রাজ্যে ‘দিদির গ্যারান্টি’ চায় বলে আওয়াজ তোলেন তিনি।

অভিষেকের কথায়, “১৫ দিনেরও কম সময়ে আমরা এই ব্রিগেডের আয়োজন করেছি। ব্রিগেডে মানুষের উপস্থিতি সুনিশ্চিত করে দিল, আগামীর রায় বিরোধীরা বিদায়।”

আবাসের টাকা নিয়ে বিজেপিকে তীব্র চ্যালেঞ্জ জানিয়ে অভিষেক বলেন, “প্রধানমন্ত্রী বাংলায় এসে বলে গিয়েছেন বাংলার আবাসের জন্য ৪২ হাজার কোটি টাকা পাঠিয়েছেন। গত ৩ বছরে মোদি সরকার যদি প্রমাণ করতে পারে আবাসের একটা টাকা দিয়েছে, তাহলে আমি রাজনীতি থেকে অবসর নেব, আপনারা যা শাস্তি দেবেন, তা মাথা পেতে নেব। শ্বেতপত্র প্রকাশ করতে হবে বিজেপিকে।”

অভিষেক আরও বলেন, “বিবেকানন্দ না থাকলে, বিশ্ব ধর্ম সম্মেলনে গিয়ে বাংলার মাথা উঁচু করার মতো সন্ন্যাসীকে ভারত পেত না। নেতাজি না থাকলে আজাদ হিন্দ ফৌজ তৈরি করে ব্রিটিশদের নাড়িয়ে দিতেন না কেউ, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর না থাকলে নিজের নামটাও বাংলায় লিখতে পারতেন না। রাম মোহন রায় না থাকলে সতীদাহ প্রথা কোনও দিন বন্ধ হত না। মমতা না থাকলে আজও বাংলার কোটি কোটি মানুষকে, বিশেষত জঙ্গলমহলের অত্যাচারিত মানুষকে সিপিএম আর মাওবাদীদের বন্দুকের নলের কাছে মাথা নত করে বাঁচতে হত।”

পাশাপাশি, মঞ্চ থেকে সদ্য পদত্যাগী বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নাম না করে অভিষেকের কটাক্ষ, “বিচারপতিরা আগে চোরেদের, খুনিদের জেলে পাঠাতো. আর এখন খুনfরা, চোরেরা বিচারপতির গলায় মালা পরিয়ে দলে নিচ্ছে। তৃণমূলের লড়াই শুধু বিজেপির বিরুদ্ধে নয়, লড়াই এই সব প্রবঞ্চকদের বিরুদ্ধে।”