Abhishek Banerjee

Abhishek Banerjee: সারা রাত রাজভবনের সামনে ধর্নায় অভিষেক, চাপ বাড়ল ‘আনন্দ’-র

ইউ এন লাইভ নিউজ ডেস্ক: এই প্রথম কলকাতার রাজপথে রাত কাটল তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। রাজভবনের উত্তর গেটের সামনে অভিষেকের নেতৃত্বাধীন তৃণমূলের প্রতিবাদী মঞ্চ উস্কে দিল দিদির ঘরানার স্মৃতি। তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকে ‘চাইলে উত্তরবঙ্গে এসে দেখা করতে পারেন’ রাজ্যপালের এহেন চিঠির জবাবে বৃহস্পতিবার ধর্না মঞ্চ থেকে অভিষেক ঘোষণা করেছিলেন, রাজ্যপাল দেখা না করা পর্যন্ত রাজভবনের সামনে আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। হয়েছেও তাই। বৃষ্টিস্নাত কলকাতা সাক্ষী থাকল অভিষেকের রাত জাগার। এর ফলে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের স্নায়ুর চাপ বাড়ল কিনা, তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, তৃণমূলের রাজভবন অভিযানের দিন কলকাতায় না ফিরে রাজ্যপাল হয়তো চেয়েছিলেন আন্দোলনের ধারকে ভোঁতা করে দিতে। কিন্তু একেবারে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধাঁচে বঞ্চিত মানুষের বকেয়া আদায়ের আন্দোলনকে অভিষেক যেভাবে ধারাবাহিকতায় রূপ দিয়েছেন তাতে রাজভবনের স্নায়ুর চাপ বাড়িয়ে আগামীদিনে আন্দোলনের রাজনৈতিকভাবে সুফল ঘরে তুলবে তৃণমূল। ১০০ দিনের বকেয়া সহ বিভিন্ন প্রকল্পে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে ২ ও ৩ অক্টোবর দিল্লিতে ধর্না কর্মসূচি নিয়েছিল তৃণমূল। সময় দিয়েও দেখা না করার অবিযোগ উঠেছে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে। প্রতিবাদে সেখানেই অবস্থানে বসে পড়েন অভিষেক সহ দলের সাংসদ, মন্ত্রীরা। তাঁদের রীতিমতো চ্যাংদোলা করে কৃষিভবন থেকে প্রিজন ভ্যানে তুলে থানায় নিয়ে যাওয়া হয় বলে অভিযোগ।

মঙ্গলবারের ওই রাতেই দিল্লি থেকে অভিষেক জানিয়েছিলেন ৫ অক্টোবর রাজভবন অভিযান হবে। রাজ্যপাল কেন্দ্রের প্রতিনিধি। ফলে কেন্দ্রের প্রতিনিধি হিসেবে তাঁর কাছে রাজ্যের ২০ লক্ষ বঞ্চিত মানুষের পাওনা টাকার আর্জি জানানো হবে বলে জানিয়েছিলেন অভিষেক। যদিও কেরল থেকে দিল্লি ফিরে কলকাতার পরিবর্তে বৃহস্পতিবার রাজ্যপাল চলে যান উত্তরবঙ্গে। সেখানেই ডেকে পাঠান তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকে। কিন্তু সকাল ১০টায় চিঠি দিয়ে বিকেল ৪টের মধ্যে উত্তরবঙ্গে দেখা করতে বলা তো জমিদারি প্রথার সমান, এই অভিযোগে রাজ্যপাল দেখা না করা পর্যন্ত লাগাতার বিক্ষোভ কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা করেন অভিষেক। তৃণমূলের বক্তব্য, বাংলায় একশ দিনের কাজ ও আবাস যোজনার বরাদ্দ বন্ধ করেছে কেন্দ্র। বিজেপি আর্থিক অবরোধ করে তৃণমূল সরকারকে চাপে ফেলতে চাইছে । উপরি গোটা তৃণমূল দলকেই চোর প্রতিপন্ন করতে চাইছে বিজেপি। এই অবস্থায় রাজ্যে রাজ্যে শাসক দলের প্রতিনিধি হয়েও অভিষেকের এই ধারাবাহিক আন্দোলন যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।