ইউ এন লাইভ নিউজ: গত ২৫ মে ষষ্ঠ দফায় অন্যতম হেভিওয়েট লোকসভা কেন্দ্র বিষ্ণুপুর। ভোট মিটতে না মিটতেই ইভিএম বদলের অভিযোগ ঘিরে শোরগোল দেখা দিয়েছে বিষ্ণুপুরের রাজনীতিতে। বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁয়ের অভিযোগ, ‘স্ট্রং রুমের সিসি ক্যামেরা পাল্টে ইভিএম বদলানোর পরিকল্পনা করা হয়েছিল পুলিশের নেতৃত্বে। এই কাজে মোটা টাকার বিনিময়ে পুলিশকে সহযোগিতা করেছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী’।
বিজেপি নেতা অমিত মালব্য এই বিষয়টি নিয়ে একটি সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে এনেছিল। বিষ্ণুপুর কে জি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে স্ট্রং রুম তৈরি করে ইভিএমগুলি সেখানেই রাখা হয়েছিল। স্ট্রং রুমের ভিতরে থাকা ইভিএমের নিরাপত্তার দায়িত্ব ন্যস্ত রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপর। বাইরে মোতায়েন করা হয়েছে রাজ্য পুলিশকে। এছাড়াও স্ট্রং রুমে কড়া নজরদারি রেখেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা- কর্মীরা।
সোমবার দুপুরে হঠাৎই বিষ্ণুপুরের বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁ স্ট্রং রুমের বাইরে উপস্থিত হন। তারপর নিজের ফোন থেকে ফেসবুক লাইভ শুরু করেন তিনি। ফেসবুক লাইভে তিনি দাবি করতে থাকেন পুলিশ স্ট্রং রুমের সিসি ক্যামেরা পাল্টে ইভিএম বদলানোর চেষ্টা করছে। স্ট্রং রুমের বাইরে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা রাজ্য পুলিশের আধিকারিকদের উদ্দেশ্য চোর চোর বলতে থাকেন। স্ট্রং রুমের পাশে থাকা একাধিক গাড়ি দেখিয়ে সৌমিত্র খাঁ অভিযোগ করতে থাকেন ওই গাড়িতে করেই ইভিএম বদল করার ছক তৈরি করেছিল রাজ্য পুলিশ। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই সৌমিত্র খাঁর সেই লাইভ ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
এই প্রসঙ্গে সৌমিত্র খাঁ বলেন, “এই চক্রান্তে মদত ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীরও। কেন্দ্রীয় বাহিনীর এক কর্মীর নাম করে সৌমিত্র খাঁর দাবি, মোটা টাকার বিনিময়ে এই চক্রান্তে যুক্ত হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ওই জওয়ান।”
সৌমিত্র খাঁর এই বিস্ফোরক অভিযোগকে পাত্তা না দিয়ে তৃণমূল প্রার্থী তথা তার প্রাক্তন স্ত্রী সুজাতা মণ্ডল বলেন, “গতকাল নিজে স্ট্রং রুম দেখেও এমন অভিযোগ করেননি বিজেপি প্রার্থী। আজ যখন নিজের হার সম্পর্কে সৌমিত্র খাঁ নিশ্চিত হয়ে গেছেন তখন হতাশায় ভুগছেন। হারের দায় নিজের কাঁধ থেকে ঝেড়ে ফেলতে এসব মিথ্যা অভিযোগ করছেন।”
Leave a Reply