ইউ এন লাইভ নিউজ: ৪৬ বছর পর অবশেষে অপেক্ষার অবসান হল। পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের রত্নভাণ্ডারের দরজা খুলে গেল ৪৬ বছর পর। চাবি না পাওয়ার কারণে রত্ন ভান্ডারের দরজার তালা ভাঙা হয়। রত্ন ভান্ডারের ভেতর থেকে পাওয়া গেছে জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার বিপুল সোনা-দানা। রত্ন ভান্ডারের ভেতর থেকে কেবল সোনা দানাই নয়, পাওয়া গেছে বহুমূল্য সম্পদ। বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ১৮ জুলাই ফের রত্ন ভান্ডারের দরজা খোলা হয়। রত্নভাণ্ডারের ভেতর থেকে যে সোনাদানা উদ্ধার হয়েছে তা সব স্ট্রং রুমে স্থানান্তরিত করা হবে বলে জানিয়েছে পুরীর জগন্নাথ মন্দির কর্তৃপক্ষ।
১৪ জুলাই, রবিবার বিশেষ কমিটির ১৪ জুলাই, রবিবার বিশেষ কমিটির তত্ত্বাবধানে খোলা হয় পুরী মন্দিরের রত্ন ভাণ্ডারের দরজা। এই রত্ন ভাণ্ডারের দুটি অংশ রয়েছে। বাইরের অংশ থেকে জগন্নাথ দেব, বলরাম দেব ও সুভদ্রা দেবীর সোনা-রুপোর গহনা মিলেছে। সেই গহনাগুলি বিশেষ ট্রাঙ্কে ভরে রাখা হয়েছে। ১৮ জুলাই অর্থাৎ বৃহস্পতিবার এই সমস্ত গহনা অস্থায়ী স্ট্রং রুমে স্থানান্তরিত করা হবে। এদিকে জানা গিয়েছে, রত্ন ভাণ্ডারের ভিতর থেকে সোনা-রুপোর গহনা ছাড়াও অনেক প্রাচীন মূর্তি পাওয়া গিয়েছে। রত্ন ভাণ্ডারের ভিতর থেকে এই মূর্তিগুলি উদ্ধার করা হয়েছে। বহুমূল্য ধাতু দিয়ে তৈরি এই মূর্তিগুলি। তবে বিগত চার দশক ধরে রত্ন ভাণ্ডারের দরজা বন্ধ থাকায়, তা সম্পূর্ণ কালো হয়ে গিয়েছে। আনুমানিক ৫ থেকে ৭টি মূর্তি উদ্ধার করা হয়েছে।
১১ সদস্যের যে কমিটি রত্ন ভাণ্ডারের ভিতরে ঢুকেছিলেন, তার চেয়ারম্যান বিশ্বনাথ রথ বলেন, “আমরা ওই মূর্তিগুলি ছুঁইনি। মূর্তিগুলি দেখতে পেয়েই আমরা প্রদীপ জ্বালাই এবং পুজো করি। আপাতত মূর্তিগুলিকে স্ট্রং রুমে স্থানান্তরিত করা হবে। সমস্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষা হওয়ার পরই মূর্তিগুলির ওজন ও অন্যান্য বিষয়গুলি জানা যাবে।”
Leave a Reply