ইউ এন লাইভ নিউজ: কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে ছিল বাংলাদেশ। ইতিমধ্যে পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়েছে গত কয়েক দিনে। সুপ্রিম কোর্টের রায়ও বেরিয়ে গেছে কোটা সংস্কার নিয়ে। মঙ্গলবার অর্থাৎ ৩০ জুলাই আরও শিথিল করা হয়েছিল কার্ফুর সময়সীমা। ৩০ জুলাই সারা দেশ জুড়ে আন্দোলনে নিহত ব্যক্তিদের স্বরণে শোকও পালন করা হয়েছে। অন্যদিকে, দেশব্যাপী রাষ্ট্রীয় শোক প্রত্যাখ্যান করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেছে। আন্দোলনকারীরের একাংশ সেই আন্দোলন প্রত্যাহার করার কথা জানালেও আরেকপক্ষ তা চালিয়ে যাওয়া হবে জানিয়েছেন। এমতাবস্থায়, স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথমবার নিষিদ্ধ হওয়ার ৫০ বছরের বেশি সময় পরে আবার নিষিদ্ধ হল বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় বিরোধীতাকারী রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলামী।
১ আগস্ট বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে একটি নোটিস জারি করা হয়েছে যেখানে সরকার সন্ত্রাস বিরোধী আইন ২০০৯ এর ধারা ১৮(১)-এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ সকল অঙ্গ সংগঠনকে রাজনৈতিক দল ও সংগঠন হিসাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। অন্যদিকে উক্ত আইনের তফসিল-২ -এ বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলামী ও বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ সকল সংগঠনকে নিষিদ্ধ সত্ত্বা হিসাবে তালিকাভুলত করেছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত দেড় দশকে বিভিন্ন সময় দলটির রাজনীতি নিষিদ্ধের প্রসঙ্গ আলোচনায় আসলেও শেষ পর্যন্ত তা বাস্তবায়নে কখনওই কার্যকর উদ্যোগ দেখা যায়নি। বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পরে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ধর্মের অপব্যবহার নিষিদ্ধ করা হলে জামায়াতে ইসলামীর সাংগঠনিক অস্তিত্ব দৃশ্যত বিলীন হয়ে যায়। স্বাধীনতার পর সাধারণ ক্ষমার আওতায় জামায়াতের কিছু নেতাকর্মী কারাগার থেকে বেরিয়ে এলেও দল হিসেবে জামায়াত নিষিদ্ধ ছিল বহু বছর। পরে ১৯৭৬ সালে ধর্মভিত্তিক রাজনীতির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হলে আরও কয়েকটি ধর্মভিত্তিক দল মিলে ইসলামিক ডেমোক্রেটিক লীগ (আই.ডি.এল) নামের একটি রাজনৈতিক প্লাটফর্মের ব্যানারে জামায়াতে ইসলামী তৎপরতা শুরু করে। যদিও রাজনীতিতে সরাসরি সক্রিয় হতে শুরু করে আরও তিন বছর পরে।
Leave a Reply