অনুব্রতর গ্রেফতারি, ধীরেন লেটের স্মৃতি উস্কে দিয়ে সিপিএম বলছে, খেলা শুরু

নিউজ ডেস্ক২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পরেই, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন বদলা নয় বদল চাই। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর আবেদনকে গুরুত্ব না দিয়ে নিজেদের মতো পথে হেঁটেছে একাংশ তৃণমূল কর্মী।

গড়বেতার সিপিএম বিধায়ককে কঙ্কালকাণ্ডে নাস্তানাবুদ করা হয়েছিল। জেলে পাঠানো হয়েছিল এক সময়ের দোর্দণ্ডপ্রতাপ সিপিএম নেতাকে। পরে তিনি অবশ্য মামলা থেকে মুক্ত হয়ে ফের রাজনীতির ময়দানে।

এসএসসি কাণ্ডে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পর, গরুপাচার কাণ্ডে সিবিআইয়ের জালে বীরভূমের তৃণমূলের প্রতাপশালী নেতা অনুব্রত মণ্ডল। যাঁর কথায় এক সময়ে বাঘে, গরুতে এক ঘাটে জল খেত, তিনি বহু টালবাহানার পর সিবিআইয়ের জেলে। এতেই আশার আলো দেখছেন বীরভূমের সিপিএম নেতৃত্ব।

২০১৫ সালের নভেম্বরে, বীরভূমের ময়ুরেশ্বরে বামেদের জাঠা কর্মসূচি চলছিল। সেই কর্মসূচিতে নেতৃত্বে ছিলেন ময়ুরেশ্বরের সিপিএমের চারবারের বিধায়ক ধীরেন লেট। তাঁদের সেই কর্মসূচিতে হামলা চালায় অনুব্রতর বাহিনী। বাঁশ দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় ধীরেন লেট সহ সিপিএম কর্মীদের। ধীরেনবাবুকে রাস্তার মধ্যে কান ধরে উঠ বোস করানো হয় এবং বলতে বাধ্য করা হয়, তিনি জীবনে আর সিপিএম করবেন না।

মধ্যযুগীয় এমন দৃশ্য দেখে, রাজ্যবাসী আড়াআড়ি ভাগ হয়েছিল, একাংশের দাবি ছিল ঠিক হয়েছে। আর একাংশ মনে করেছিল, এটা ঠিক হয়নি। তারপর সময় অনেক গড়িয়েছে, বীরভূমের বেতাজ বাদশা হয়ে উঠেছিলেন অনুব্রত। বহু টালবাহানার পর সিবিআইয়ের জালে তিনি। এখন নেটপাড়ায় সিপিএমপন্থীদের মধ্যে চাপা আনন্দ বইছে, তাদের দাবি, আসল খেলা শুরু হয়েছে। কর্মফল পেতে শুরু করেছেন অনুব্রত।