ইউ এন লাইভ নিউজ: আর জি কর কাণ্ডে এখনও জ্বলছে প্রতিবাদের আগুন। যত দিন যাচ্ছে তা যেন আরও বাড়ছে। জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি চলছে আর সাধারণ মানুষের প্রতিবাদ মিছিলও চলছে। আর এই ঘটনায় গত ১৫ অগস্ট কলকাতা হাই কোর্ট এই মামলার তদন্তভার দিয়েছে সিবিআইকে। তারপর থেকে কেটে গিয়েছে ১৪ দিন। বর্তমানে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আতস কাঁচের নিচে রয়েছে আর জি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। আর এই ১৪ দিনে মোট ১৩ বার সিবিআইয়ের জেরার মুখোমুখি হয়েছেন সন্দীপ। সব মিলিয়ে ১০০ ঘণ্টারও বেশি জেরা করা হয়েছে তাঁকে। এমনকি সম্প্রতি সিবিআইয়ের এক দল তাঁর বেলেঘাটার বাড়িতেও হানা দিয়েছিলেন। কিন্তু সন্দীপ তাঁদের ৭৫ মিনিট বাড়ির বাইরে দাঁড় করিয়ে রাখার পর দরজা খোলেন। এর পরে বৃহস্পতিবারও সন্দীপ হাজির হলেন সিজিও কমপ্লেক্সে সিবিআইয়ের দফতরে। বৃহস্পতিবারও জেরা করা হবে তাঁকে।
আরজি করে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার তদন্তের পাশাপাশি ওই হাসপাতালের আর্থিক দুর্নীতির তদন্তের দায়িত্বও পেয়েছে সিবিআই। এবং এই দু’টি মামলাতেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে। প্রথম মামলাটিতে প্রশাসক হিসাবে ঘটনার দায় বর্তেছে তাঁর উপর। দ্বিতীয় মামলায় সন্দীপের প্রাক্তন সহকর্মী তথা আরজি করের প্রাক্তন ডেপুটি সুুপার আখতার আলি আদালতে জানিয়েছেন সন্দীপের বিরুদ্ধে চিকিৎসার জৈব বর্জ্য দুর্নীতি, সরকারি টাকা নয়ছয়, ভেন্ডর নির্বাচনে স্বজনপোষণ, নির্মাণে আইন ভেঙে ঠিকাদার নিয়োগ ছাড়াও বিভিন্ন আর্থিক অনিয়মের কথা। তাই দ্বিতীয়টিতে সরাসরি অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। সেই সূত্রেই তাঁকে জেরা করছে সিবিআই।
আরজি করের মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনা ঘটে ৯ অগস্ট। জুনিয়র ডাক্তার ও পড়ুয়াদের আন্দোলনের চাপে খানিকটা বাধ্য হয়েই প্রাক্তন অধ্যক্ষের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেদিনই বিকেল গড়াতে না গড়াতেই তাকে ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ করা হয় তবে সেখানকার পড়ুয়ারাও তাঁকে অধ্যক্ষ হিসেবে মেনে নেবেন বলে আন্দোলন শুরু করে। অবশেষে আদালতের নির্দেশে ন্যাশনাল মেডিক্যাল থেকেও সন্দীপকে সরিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য ছুটিতে পাঠানো হয়।
Leave a Reply