ইউ এন লাইভ নিউজ: লোকসভা ভোটের প্রচারে নরেন্দ্র মোদি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সেই মতই প্রতিশ্রুতি পালন করতে চলেছে ওড়িশার বিজেপি সরকার। প্রায় সাড়ে চারদশক পর রথযাত্রার পরই খুলে যাবে পুরীর রত্নভাণ্ডারের দরজা। বুধবার এবিষয়ে স্পষ্ট জানি দিয়েছেন এএসআইয়ের পুরী সার্কেলের এক শীর্ষ আধিকারিক।
বুধবার পুরী সার্কেলের এএসআইয়ের সুপার দিবিশাদ গড়নায়ক বলেছেন, ‘রথযাত্রার পরই রত্নভাণ্ডার পর্যবেক্ষণ করা হবে। যেখানে কোর কমিটি এবং টেকনিক্যাল কমিটির সদস্যরা উপস্থিত থাকবেন। এ বছর রথযাত্রা পালিত হবে দুদিন, ৭ এবং ৮ জুলাই। পুরীতে রথযাত্রা পালিত হওয়ার পরই খোলা হবে রত্নভাণ্ডারের দরজা। রত্নভাণ্ডারের গঠনগত অবস্থা খতিয়ে দেখবে এএসআই। গতবছর বাইরের দেওয়ালের লেজার স্ক্যানিংয়ে বেশকিছু ফাটল এবং জোড়া এলাকায় চিড় ধরেছে বলে দেখা গিয়েছিল। সেগুলি কী অবস্থায় আছে খতিয়ে দেখা হবে।’
পুরীর মন্দিরের গোপন কক্ষে সাতটি ঘর আছে। সেই ঘরগুলিই হল রত্নভাণ্ডার। মনে করা হয়, এই রত্নভাণ্ডারটি দ্বাদশ শতাব্দীর তৈরি। মন্দিরের রত্নভাণ্ডার শেষবার খোলা হয়েছিল ১৯৭৮ সালে। দীর্ঘ চার দশক পর রত্নভাণ্ডারের দরজা খুলতে চলেছে। ভোট প্রচারে এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অভিযোগ করেছিলেন, পুরীর রত্নভাণ্ডারের চাবিই নাকি হারিয়ে ফেলেছে নবীন পট্টনায়েক সরকার। গেরুয়া সরকার ক্ষমতায় এলে রত্নভাণ্ডার খোলা হবে। সেই প্রতিশ্রুতিই এবার পূরণ করতে চলেছে পদ্ম শিবির।
সম্প্রতি হাইকোর্টের নির্দেশে হলফনামায় মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মন্দিরে ১৫০ কেজি সোনার পাশাপাশি রয়েছে ১৮৪ কেজি রুপো। সাতের দশকের শেষেই যাবতীয় যাবতীয় অলঙ্কার গোণা হয়েছিল। ১৯৭৮ সালে শেষবার পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের রত্নভাণ্ডারের খতিয়ান নেওয়া হয়েছিল। ওই রত্নভাণ্ডারে জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার সোনার মুকুট নিয়ে প্রায় ১৫০টি সোনার অলঙ্কার-সহ মোট ৮৩৭টি জিনিস রয়েছে।
Leave a Reply