ইউ এন লাইভ নিউজ ডেস্ক: সংসদের বিশেষ অধিবেশনে মহিলা সংরক্ষণ বিল পাশ হয়ে গিয়েছে। বুধবার লোকসভা এবং বৃহস্পতিবার বেশি রাতে রাজ্যসভায় বিলটি পাশ হতে কালক্ষেপ করলেন না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রাত পোহাতেই বুঝিয়ে দিলেন এই বিলকে তিনি লোকসভা ভোটের প্রচারে তাঁর সরকারের কৃতিত্ব বলে দাবি করতে চলেছেন। শুক্রবার সেটাই করলেন দিল্লিতে বিজেপির সর্বভারতীয় দফতরে। পদ্ম শিবির শুক্রবার মহিলা বিল উদযাপনের কর্মসূচি নিয়েছে। সারা দেশে দল আজ এই বিল পাশের কৃতিত্ব দাবি করতে সভা, মিছিল ইত্যাদি করবে। এছাড়া সমাজমাধ্যমে প্রচার তো আছেই।
আসলে সংসদের বিতর্কে আরজেডি, সমাজবাদী পার্টির মতো কয়েকটি দল বাদে বাকিরা মহিলা বিল পাশে নিজেদের কৃতিত্ব দাবি করে। সনিয়া গান্ধী বলেন, মহিলাদের জন্য লোকসভা, বিধানসভায় আসন সংরক্ষণের মধ্য দিয়ে আমার প্রয়াত জীবনসঙ্গীর স্বপ্ন পূরণ হবে। কংগ্রেস নেত্রী দাবি করেন, রাজীব গান্ধী প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে প্রথম এই ব্যাপারে উদ্যোগী হয়েছিলেন। তৃণমূল মহিলা বিল পাশের বিশেষ কৃতিত্ব দিয়েছে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। মমতা এই ব্যাপারে সংসদে সরব হওয়ার পাশাপাশি দলে এবং সরকারে মহিলাদের প্রতিনিধিত্ব অনেকটাই বাড়িয়েছেন। তৃণমূলের দুই বক্তা লোকসভায় কাকলি ঘোষ দস্তিদার, রাজ্যসভায় ডেরেক ও ব্রায়েন বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ করে বলেন, মহিলা বিল পাশ করানোর কৃতিত্ব দাবি করার আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো দলে ও মন্ত্রিসভায় মহিলাদের ৪০ শতাংশ প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করে দেখান।
ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, প্রধানমন্ত্রী দলীয় কর্মী-সমর্থকদের সেই ঘটনা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন, ১৯৯৬ থেকে ২০২৩, কেন ২৭ বছর লাগল বিলটি পাশ করাতে প্রচারে তা তুলে ধরবে বিজেপি। লোকসভায় বিলটি পেশ হওয়ার পর পরই প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘ঈশ্বর বোধহয় আমার হাত দিয়েই বিলটি পাশ করানোর জন্য বরাদ্দ রেখেছিলেন। দলীয় দফতরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজ, আমি দেশের সকল নারীকে অভিনন্দন জানাই। গতকাল এবং পরশু আমরা একটি নতুন ইতিহাস রচনার সাক্ষী হয়েছি। এটা আমাদের সৌভাগ্য যে কোটি কোটি মানুষ আমাদের সেই ইতিহাস তৈরি করার সুযোগ দিয়েছে।’ মোদির আগে বিজেপি সভাপতি মোদী সরকারের নারী কল্যাণ প্রকল্পগুলি তুলে ধরে দাবি করেন, বিজেপি মহিলাদের অধিকারের বিষয়ে কতটা আন্তরিক। তিনি বলেন, ‘সংসদে মহিলা বিল পাশ ইতিহাসের একটি অধ্যায় হয়ে থাকবে।‘
Leave a Reply