ইউ এন লাইভ নিউজ: চলছে লোকসভা নির্বাচন। চতুর্থ দফার ভোট শেষ হয়েছে। তিন দফার নির্বাচন এখনও বাকি। হাওড়া জেলার জগৎবল্লভপুরের নিমবালিয়া সিংহবাহিনী গ্রামে এক বৃদ্ধা হোম ভোটিং-র মাধ্যমে বাড়িতে ভোট দেওয়ার ১০ মিনিটের মধ্যেই প্রয়াত হলেন বৃদ্ধা। বৃদ্ধদের জন্য এই ব্যবস্থা করা হয় নির্বাচন কমিশনের তরফে। সেইমতো নিজের ভোটদান করেছেন ওই বৃদ্ধা। তবে ভোটদানের পরেই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ঘটনায় শোকের ছায়া পরিবারে।
প্রত্যেক নাগরিককে তাঁর গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগের ব্যবস্থাপনায় কোনো রকম খামতি রাখছে না নির্বাচন কমিশন। অশীতিপর বয়স্কদের জন্যেও রয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। সেই হোম ভোটিংয়ের মাধ্যমে ভোট দেওয়ার পর বৃদ্ধার পরলোকগমন। এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়া জেলায় জগৎবল্লভপুর নিমাবালিয়া গ্রামে।
মৃতার নাম গায়ত্রী মুখোপাধ্যায় (৮৯)। বার্ধক্যজনিত অসুস্থতার কারণে দীর্ঘদিন ধরে শয্যাশায়ী। প্রায়ই শ্বাসকষ্টে ভুগতেন। তা সত্ত্বেও তিনি স্বাভাবিক কথাবার্তা বলতে পারতেন। তিনি এবার লোকসভা নির্বাচনে নিজের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগের ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন মেজো ছেলে স্বপন মুখোপাধ্যায়ের কাছে। মায়ের ইচ্ছাপূরণের জন্য তাঁর মেজ ছেলে জগৎবল্লভপুরের বিডিও অফিসে যোগাযোগ করেন। প্রশাসন থেকে শুক্রবার দুপুরে বৃদ্ধার বাড়িতে গিয়ে ভোট নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সেইমতো শুক্রবার দুপুর একটা ১০ নাগাদ প্রশাসনিক আধিকারিকরা তাঁর বাড়িতে ভোট নিতে যান। সেই সময় গায়ত্রী দেবী বিছানায় শুয়ে ছিলেন। তাঁর ছেলে বলেন, মা আধিকারিকদের সামনেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভোট দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। বৃদ্ধার নাতনী সহযোগিতায় টুয়েলভ ডি ফর্মের তিন জায়গায় বাঁ হাতের বুড়ো আঙুলে টিপ সই দেন। শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভোট দেওয়ার পর শেষবার নাতনির হাতে জল খান। এরপর ১০ মিনিটের মধ্যেই তিনি পরলোকে পাড়ি দেন।
বৃদ্ধার ছেলে স্বপন মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন,’‘মা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভালোবাসতেন। বলতেন মেয়েটা খুব ভালো। তাঁকেই আমার পছন্দ। কাকে ভোট দিতে চাও প্রশ্ন করতেই তিনি বললেন মমতার দলকে। ভোট দেওয়ার পরই তাঁর মৃত্যু হয়।’’ গায়ত্রী দেবীর মৃত্যুতে পরিবারে শোকস্তব্ধ পুরো পরিবার। তাঁর মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছেন পরিবারের সকল সদস্যরা। কিন্তু তাঁর এই শেষ ইচ্ছা পূরণ করতে পেরে নিজেদের সান্ত্বনা দিতে পেরেছেন বলে জানিয়েছেন তাঁর পরিবারবৃন্দরা।
Leave a Reply