নিউজ ডেস্ক: কখনো সায়গল কখনো মণীশ নিজের ঘাড় থেকে দোষ ঝেড়ে ফেলতে অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছেন গরুপাচার কাণ্ডে অভিযুক্ত অনুব্রত মণ্ডল। অন্যদিকে অনুব্রতর হিসাব রক্ষক মণীশ কোঠারির দাবি, তিনি অনুব্রতর নির্দেশ মেনে কাজ করেছেন। প্রকৃত সত্যি কি, সেটা জানতেই আদাজল খেয়ে নেমেছে ইডির তদন্তকারীরা। এদিকে ২০ মার্চের মধ্যে সুকন্যা মণ্ডলকেও তলব করেছে ইডি। সূত্রের খবর, তিনজনকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করে প্রকৃত তথ্যা জানার চেষ্টা চালাবে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকরা।
অনুব্রতর গরু পাচারের টাকা বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিয়োগের তথ্য আগেই পেয়েছিল ইডি। সে সম্পর্কে জানতে অনুব্রতকে প্রশ্ন করেন তদন্তকারীরা। উত্তরে বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি জানান, “মণীশ আমাকে যেভাবে কালো টাকা সাদা করতে বলেছে, আমি করেছি।”
এর আগে অনুব্রত দাবি করেছিলেন, তিনি কিছু জানেন না। যা করার সব তাঁর দেহরক্ষী সায়গল হোসেন করেছেন। এবার হিসাবরক্ষকের ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছেন তিনি। যদিও কেষ্টর চাপানো দায় নিতে রাজি নন হিসাবরক্ষক। মণীশের পালটা দাবি, “উনি কারও কথা শুনতেন না। নিজের যা মনে হত করতেন।”
আদালতের নির্দেশ মেনে এদিন সকালে অনুব্রতর শারীরিক পরীক্ষা করানো হয়। নিয়ম মেনে মণীশের সঙ্গে দেখা করতে আসেন তাঁর আইনজীবী সঞ্জীব দাঁ। আইনজীবীর হাতে মোবাইল, মানিব্যাগ ও ঘড়ি পাঠিয়ে দিয়েছেন মণীশ।
Leave a Reply