‘সু’ কন্যার কীর্তি

সোমনাথ পাঁজা: সিবিআই তদন্তে একের পর এক উঠে আসছে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য। সন্ধান মিলেছে পাহাড় প্রমা সম্পত্তির হদিশ। এবার আরেকটি শোরগোল ফেলে দেওয়া তথ্য সামনে উঠে আসছে অনুব্রত কন্যা সুকন্যার বিষয়ে।

২০১১ সালে তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসে। ঠিক তার পরের বছর অর্থাৎ ২০১২ সালে বাড়ির কাছেই কালিকাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগ দেন সুকন্যা।

শোনা যাচ্ছে, নিছক প্রয়োজন না পড়লে স্কুলেই যেতেন না তিনি। বরং বাবার বিষয় সম্পত্তি এবং ব্যবসা সামলাতেন। শুধু তাই নয় হাজিরার খাতা পৌঁছে যেত সুকন্যার কাছে। তাতে সই করে বেতন নিয়েছেন বছরের পর বছর!

কেষ্টর মেয়ে বলে কথা, প্রতিবাদ করবে কার সাধ্যি!কেষ্টকে সিবিআই গ্রেফতার করতে বেরিয়ে আসছে সেই সব তথ্য। আবার একটা সময়ে রটিয়ে দেওয়া হয় তিনি নাকি চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন। কিন্তু এ কথা অস্বীকার করেছেন বীরভূম জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের সভাপতি প্রলয় নায়েক।

বিরোধীরা বলছেন, কেষ্ট-ভূমে যেখানে বাঘে-গরুতে এক ঘাটে জল খায়, যেখানে অনিয়মটাই নিয়ম, সেখানে স্কুলে না গিয়েই বেতন পেয়েছেন কেষ্ট কন্যা, এতে আশ্চর্য হবার  কিছুই নেই!

তাঁদের দাবি, সুকন্যার নিয়োগ নিয়েও যথাযত তদন্ত হওয়া উচিত। যেভাবে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে একের পর এক কেলেঙ্কারি সামনে এসেছে তাতে সুকন্যার নিয়োগেও “কেলেঙ্কারি”ঘটে থাকতে পারে বলেই তাঁদের ধারণা।