নিউজ ডেস্ক: সায়গল হোসেনকে প্রতিমাসে ৫ কোটি টাকা করে প্রোটেকশন মানি দিতেন অনুব্রত মণ্ডল। বুধবার এমনই বিস্ফোরক দাবি করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। কিন্তু কেন প্রতিমাসে কোটি কোটি টাকা সায়গল হোসেনের অ্যাকাউন্টে জমা করতেন অনুব্রত? ইডির জেরায় উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
ইডি সূত্রে খবর, বীরভূমের এক হাটে সপ্তাহে প্রায় ১৫ থেকে ২০ কটি টাকার গরু কেনাবেচা হত। কেনাবেচার টাকার পরিমাণের উপরেই নির্ভর করত প্রটেকশান মানির পরিমাণ। সায়গলের দায়িত্ব ছিল, যাতে সমস্ত বাধাবিঘ্ন এড়িয়ে নিরাপদে বীরভূম সীমান্ত থেকে বাংলাদেশে গরু পৌঁছে যায় তা দেখা। সেই কারণেই প্রোটেকশন মানি দিতেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি।
ব্যবসার টাকা পেতেন এনামুল হকও। অনুব্রতর পরামর্শেই আবার সেই টাকা তিনি বিনিয়োগ করতেন কয়লা পাথর খাদানের অবৈধ ব্যবসাতেও। ইডির দাবি, এভাবেই অনুব্রতর সাহায্যে ফুলে ফেঁপে উঠেছিলেন এনামূল।
এবার সায়গল হোসেন, এনামুল হক, মনীশ কোঠারিদের বয়ানকে হাতিয়ার করে দিল্লিতে অনুব্রত মণ্ডলকে জেরা করতে শুরু করেছে ইডির তদন্তকারীরা। সূত্রের খবর, গরু পাচার মামলায় ধৃত তৃণমূল নেতাকে জেরা করতে দুঁদে আইপিএস আধিকারিকদের নিয়ে টিম তৈরি হয়েছে। ৬ সদস্যের টিমের নেতৃত্বে রয়েছেন ইডির স্পেশ্যাল ডিরেক্টর সোনিয়া নারাং।