আজ ফের সিবিআইয়ের জেরা অনুব্রত মণ্ডলকে

নিউজ ডেস্ক: দফায় দফায় জেরা! গতকালের পর আজ ফের অনুব্রত মণ্ডলকে জেরা শুরু সিবিআইয়ের। যদিও শুক্রবার সন্ধের পর জেরা করা হয়েছিল অনুব্রত মণ্ডলকে। এতদিন অনেক প্রশ্নের উত্তর এড়িয়েছেন অনুব্রত। তবে সিবিআই সূত্রের খবর, বেশিরভাগ প্রশ্নেই তিনি নীরব ছিলেন। আজ ফের শুরু হবে জেরা। আসানসোল আদালত অনুব্রত মণ্ডলকে ১০ দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। তবে সিবিআই হেফাজতে থাকাকালীন ৪৮ ঘণ্টা অন্তর অনুব্রত মণ্ডলের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

অনুব্রতকে সিবিআই এর তরফে প্রশ্ন করা হয়, বীরভূমের এর করিডরে যে গরুপাচার হত তা তিনি জানতেন কি না? সায়গল-এনামুলরা যে টাকা নিত সে বিষয় তিনি কিছু জানতেন কি না?

বীরভূম জেলার তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের চিকিৎসা-বিতর্কে এবার নাম জড়াল বীরভূম জেলা পরিষদ সভাধিপতির। বোলপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের সুপার বুদ্ধদেব মুর্মুর বিস্ফোরক দাবি, বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি তথা সিউড়ির তৃণমূল বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরীর নির্দেশেই তিনি অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে সরকারি চিকিৎসক পাঠান। যেহেতু মৌখিক নির্দেশে বাড়িতে গিয়ে চিকিৎসা, এর কারণেই হাসপাতালের সিল বা প্রেসক্রিপশন ব্যবহার করতে দেওয়া হয়নি, জানিয়েছেন সুপার বুদ্ধদেব মুর্মু।

যদিও এই বিষয়ে বিকাশ রায় চৌধুরী সংবাদ মাধ্যমে বলেন, ” আমি সিউড়িতে ছিলাম। অনুব্রত মণ্ডলের বাড়ি থেকে ফোন এসেছিল যে তিনি খুব অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। আমি শুধু এই তথ্য সুপারকে দিয়েছিলাম। তারপর যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার তিনি নিয়েছেন। আমি কোনও নির্দেশ দিইনি।” সুপারের দাবি ভিত্তিহীন বলেও জানান বিকাশবাবু।

শুক্রবার, পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারির পর দুর্নীতি ইস্যুতে কলকাতায় বিক্ষোভ দেখায় কংগ্রেস ও বামেরা। বিধান ভবনের সামনে থেকে গরু নিয়ে মিছিল করে কংগ্রেস। মিছিলের সামনে, একজনকে মুখোশ পরিয়ে, অনুব্রত মণ্ডল সাজানো হয়। বিলি করা হয় গুড়-বাতাসা-নকুলদানা।

অন্যদিকে কালীঘাট থেকে গড়িয়াহাট পর্যন্ত মিছিল করে সিপিএমের ছাত্র ও যুব সংগঠন। ভোটের আগে হুমকি-হুঁশিয়ারি দিতে গিয়ে, গুড়-বাতাসা থেকে নকুল দানার মতো শব্দবন্ধ ব্যবহার করতেন অনুব্রত মণ্ডল। শুক্রবার কংগ্রেসের মিছিল থেকে বিলি করা হয় গুড়, বাতাসা আর নকুলদানা। এমনকী বাসে উঠে যাত্রীদের মধ্যেও, বাতাসা-নকুলদানা বিলি করতে দেখা যায় কংগ্রেস কর্মীদের।