ইউ এন লাইভ নিউজ ডেস্ক: উনিশের লোকসভা ভোটের আগের চিত্রনাট্যের পুনরাবৃত্তি ঘটল চব্বিশের ভোটের আগে। উনিশের লোকসভা ভোটে তৃণমূলের টিকিট না পেয়ে শিবির বদল করেছিলেন ভাটপাড়ার ‘বাহুবলী’ অর্জুন। বিজেপির টিকিটে জিতেও আসেন তিনি। কিন্তু একুশের ভোটে তাঁর খাসতালুক নৈহাটি, ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে কোনও ম্যাজিক দেখাতে পারেননি। উলটে বোমাবাজি, তোলাবাজি, গুন্ডামির মতো অভিযোগ আসছিল অর্জুনের বিরুদ্ধে। এর মধ্যেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে তৃণমূলে ফেরেন অর্জুন সিং।
অর্জুন সিং নিজে বলেছেন, তিনি কোন দলে আছেন তা নিজেও জানেন না। তবে লোকসভা ভোটে তিনি প্রার্থী হবেনই। এবং সেটা ব্যারাকপুর থেকেই। এই বিতর্কে বুধবার তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাফ কথা, অর্জুন যেহেতু এখনও বিজেপিরই সাংসদ, তাই তিনি কোন দলের প্রার্থী হবেন, সেটা তাঁর ব্যক্তিগত বিষয়।
রবিবার ব্রিগেডে তৃণমূলের সভায় পার্থকে ব্যারাকপুরে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা পরেই অর্জুন বিদ্রোহী হয়েছেন। তৃণমূল বিশ্বাসঘাতকতা করেছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। শিলিগুড়িতে বুধবার মমতা বলেন, ‘আমার কিছু বলার নেই। উনি তো এখনও বিজেপির সাংসদ। উনি কিন্তু বিজেপির সাংসদ পদ ছাড়েননি, এটা মাথায় রাখবেন। উনি এখনও বিজেপির টিকিটেই সাংসদ রয়েছেন। তাই এটা ওঁর স্বাধীনতা, কোন পার্টির হয়ে দাঁড়াবেন, না-দাঁড়াবেন। আমরা রাজনৈতিকভাবে লড়াই করব। ব্যারাকপুরে আমাদের প্রার্থী পার্থ ভৌমিক। আমাদের সেচমন্ত্রী। ভালো ছেলে। আমি আশা করি পার্থ ভৌমিক মানুষের সমর্থন পাবে।’
অর্জুনকে দলে নেওয়া নিয়ে বিজেপির অন্দরেই দ্বন্দ্ব ছিল। সূত্রের খবর, ব্যারাকপুরের ‘দলবদলু’ সাংসদে দলে নিয়ে লোকসভার টিকিট দিতে আগ্রহী ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী ও তাঁর অনুগামীরা। কিন্তু বেঁকে বসেন সুকান্ত ও দিলীপ ঘোষের ‘লবি’। ভোটে নিষ্ক্রিয় হয়ে যাওয়ার হুমকিও দেয় তারা। কিন্তু তাতে কাজ হল না। শেষপর্যন্ত শুভেন্দুর জোরাজুরিতে রাতের অন্ধকারে ঢাকঢোল না পিটিয়ে অর্জুনকে দলে নিল বিজেপি। ব্যারাকপুরের টিকিটও দেওয়া হতে পারে তাঁকে।
Leave a Reply