নিউজ ডেস্ক : আন্তর্জাতিক মহলে ফের মুখ পুড়েছে পিএলএ-এর। সীমান্তে চিনা সেনাবাহিনীর অনুপ্রবেশের ষড়যন্ত্রের ছক ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনীর তিন রেজিমেন্ট। ৯ ডিসেম্বর অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং সেক্টরের ইয়াংটসে এলাকায় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলএসি) বরাবর চিনা সেনাদের একতরফাভাবে করা আক্রমণ করার চেষ্টাকে সাহসের সঙ্গে রুখে দিয়েছেন জম্মু ও কাশ্মীর রাইফেলস, জাট রেজিমেন্ট এবং শিখ লাইট ইনফ্যান্ট্রির সৈন্যরা।
সূত্রের খবর, ৯ ডিসেম্বর অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং সেক্টরে যেদিন আচমকা আক্রমণ চালায় চিনা বাহিনী, সেদিন সেখানে উপস্থিত ছিল ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিভিন্ন রেজিমেন্টের তিনটি ইউনিটের সৈন্যরা। সেদিনই ভারতীয় সেনাবাহিনীর একটি ইউনিট, সীমান্তের টহলদারির দায়িত্ব, অন্য ইউনিটের হাতে হস্তান্তর করে ফিরে আসবে বলে প্রস্তুত হচ্ছিল। ফলে সেইসময় বিপুল সৈন্য উপস্থিত ছিলেন সেখানে। যার কারণে সহজেই চিনা বাহিনীর আক্রমনের পাল্টা জবাব দেয় ভারত।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর দাবি, ৯ ডিসেম্বর সীমান্তে যখন দেশীয় সৈন্যরা টহলদারির দায়িত্ব হস্তান্তরে ব্যস্ত ছিলেন, সেই সুযোগকে কাজে লাগায় পিএলএ। ৩০০-এরও বেশি সৈন্য নিয়ে নিজেদের এলাকা অতিক্রম করে টহলদারির কাজ শুরু করে লাল ফৌজ। তবে তৎক্ষণাৎ চিনা সেনাদের এই কাজে বাধা দেয় ভারতীয় সেনাবাহিনী। তাই নিয়েই শুরু হয় দুই পক্ষের বিবাদ। ক্রমেই তা গড়ায় লাঠালাঠি পর্যন্ত। এমনকি পাথরও ছোঁড়ে চিনা বাহিনী। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ভারতীয় সেনা, পিএলএ-কে তাঁদের সীমানায় ফেরত পাঠাতে সক্ষম হয়।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর জম্মু ও কাশ্মীর রাইফেলস, জাট রেজিমেন্ট এবং শিখ লাইট ইনফ্যান্ট্রি, এই তিন বিভাগের যৌথ অভিযান, লাল ফৌজের অনুপ্রবেশ রুখে যেভাবে মুখের ওপর জবাব দিয়েছে, তা বিশ্বজুড়ে প্রশংসিত হয়েছে। এই পরিস্থিতি আবারও প্রমাণ হয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে তিন বিভাগের অপরিহার্যতা। জম্মু ও কাশ্মীর রাইফেলস, সারাবছরই জঙ্গিদের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে লড়াই করে। জাট রেজিমেন্টের নামই যথেষ্ট অকুতোভয় সৈন্যদের বোঝাতে। অন্যদিকে, শিখ লাইট ইনফ্যান্ট্রি, দেশের শৌর্যের অন্যতম প্রতীক বলেই পরিচিত। এই তিন বাহিনী একত্রিত হলে কী ঘটতে পারে, বর্তমানে আর কারোর কাছেই অজানা নেই।
Leave a Reply