ইউ এন লাইভ নিউজ: সোমবার থেকেই আকাশের মুখ ভার কলকাতায় বেশ কয়েকটি জায়গায় বৃষ্টিপাতও হয়ে গিয়েছে। মঙ্গলবার সকালেও বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি দেখা দিয়েছে, আর বৃষ্টির পরেই কলকাতার আকাশে দেখা গিয়েছে এক মহাজাগতিক দৃশ্য। মঙ্গলবার সকালে কলকাতার আকাশে সূর্যকে কেন্দ্র করে দেখা গিয়েছে এক রঙিন আলোক বৃত্ত। মঙ্গলবার সকালে বৃষ্টির পর রোদ ঝলমলে আকাশ থাকায় কলকাতায় দেখা গিয়েছে এই দৃশ্য। প্রায় ১ ঘন্টার বেশি সময় ধরে এই রঙিন আলোক বৃত্তের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায় সূর্যের চার পাশে। জানা যায়, আলোক বিচ্ছুরণের কারণে এই রামধনুর বৃত্তাকার বলয় তৈরী হয় সূর্যের চারিদিকে। এই বলয়কে সাধারণত রেইনবো সার্কেল হেলো বলা হয়ে থাকে।
সূর্যের চারপাশে যে হেলো তৈরি হয়েছিল তা আসলে ২২ ডিগ্রির একটি বৃত্ত। এই বৃত্ত মূলত আলোর বিচ্ছুরণের ফলেই তৈরি হয়। আকাশের একদম উচ্চস্তরে যেখানে বরফকণা থাকে, সেখান দিয়ে সূর্যালোক স্থানান্তরের সময় বিচ্ছুরিত হয়। আর তার ফলেই এই সূর্যের হেলো তৈরি হয় এবং তার মধ্যে বিভিন্ন রঙের মিশ্রণ দেখা যায়। ইলিনোয়িস-এর বিশ্ববিদ্যালয়ের মতে এই হেলো আসলে একটি আলোর বৃত্ত। সূর্য কিংবা চাঁদের সঙ্গে ২২ ডিগ্রি কৌণিক অবস্থানে থাকে এই রঙিন বৃত্ত। ষড়ভূজাকার আইস ক্রিস্টালের উপর আলো পড়লে, তা বিচ্ছুরিত হয়ে এই ‘কমন টাইপ’ সার্কেল রেনবো রিং তৈরি হয়।
মেঘের মধ্যে লক্ষ লক্ষ ক্ষুদ্রাকৃতির বরফ কণা থাকে। এইসবের মধ্যেই সূর্যালোক পড়লে তা বিচ্ছুরিত হয়, ভেঙে যায়, প্রতিবিম্বও তৈরি করে। আর তার থেকেই রামধনু বৃত্ত তৈরি হয়। ২২ ডিগ্রি হেলো-র ক্ষেত্রে বরফ কণার একদিক দিয়ে আলো প্রবেশ করে, অন্যদিক দিয়ে বেরিয়ে যায়। দু’ক্ষেত্রেই আলোরশ্মি প্রতিক্ষিপ্ত হয়। প্রবেশ এবং প্রস্থানের দু’টি আলাদা জায়গায় আলোকরশ্মি প্রতিক্ষিপ্ত হওয়ার ফলে ২২ ডিগ্রি রিং তৈরি হয়। তারপর সেটা সূর্য বা চাঁদের চারপাশে অবস্থান করে।
Leave a Reply