নিউজ ডেস্ক: ঋষিকেশে অঙ্কিতা ভান্ডারি খুনের মামলাকে কেন্দ্র করে সরগরম উত্তরাখণ্ড। এই মামলায় একের পর এক রহস্য উন্মোচনের মধ্যেই সম্পন্ন হল অঙ্কিতার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া। এনআইটি ঘাটে তাঁর মুখাগ্নি করেন তাঁর ভাই। মৃতদেহ পোড়ানোর জট কাটতেই, ঋষিকেশের গঙ্গাভোগপুরের নীরজ ফরেস্ট রিসোর্টে অভিযান চালিয়ে, কর্মচারীদের নথিপত্র যাচাইয়ের কাজ শুরু করেছে প্রশাসন। রিসোর্টের স্পা সেন্টারে কর্মরত কর্মচারীদের কাগজপত্র, গ্রাহকদের ভিজিটিং রেজিস্টার, এমনকি কর্মীদেরও ঘটনাস্থলে পাওয়া যায়নি। এর জেরে স্পা সেন্টারটি সিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।
অঙ্কিতা ভান্ডারি খুনের মামলার তদন্ত শুরু হতেই প্রকাশ্যে এসেছে নতুন নতুন তথ্য। অভিযুক্ত পুলকিতের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে বেশ কিছু অডিও ক্লিপ। সেই অডিও ক্লিপে অঙ্কিতার বন্ধুকে ধমকাতে শোনা গেছে পুলকিতকে।অঙ্কিতার বন্ধু পুষ্পের ঘাড়ে সমস্ত দোষ চাপাবার চেষ্টাও করে পুলকিত। যদিও সেই অডিও সত্যতা যাচাই করেনি UNLive. এছাড়াও অঙ্কিতার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট থেকেও উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। হরিদ্বারের বিজেপি নেতা বিনোদ আর্যের ছেলে পুলকিতের বিরুদ্ধে অঙ্কিতাকে রিসর্টের অতিথিদের সঙ্গে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হওয়ার জন্য জোর করা হত বলেও অভিযোগ উঠেছে। অঙ্কিতা এক বন্ধুকে লিখেছিলেন, ‘গরিব হতে পারি। কিন্তু ১০ হাজার টাকার জন্য নিজেকে বিক্রি করতে পারব না।’ এছাড়াও প্রমাণ লোপাটের উদ্দেশ্যে বুলডোজারের দিয়ে রিসর্ট ভেঙ্গে দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে পুলকিতের বিরুদ্ধে।
গত ১৮ ই সেপ্টেম্বর নিখোঁজ হয়ে যান অঙ্কিতা। ১৯ তারিখ নিখোঁজ ডায়েরি করতে থানায় পৌঁছাই অঙ্কিতারং বাবা। সেখানে আগে থেকেই উপস্থিত ছিল পুলকিত আর্য। সেখানে অঙ্কিতার বাবাকে মারার চেষ্টা করার অভিযোগও উঠেছে পুলকিতের বিরুদ্ধে। এরপরই এফআইআর দায়ের হয়। তদন্তে নামে পুলিশ। নিখোঁজ হওয়ার ৬ দিন পর চাল্লি খাল থেকে অঙ্কিতার দেহ উদ্ধার করা হয়। তারপরই হৃষীকেশে এইমসে তরুণীর ময়নাতদন্ত করা হয়। তদন্তে নেমে হরিদ্বারের বিজেপি নেতা বিনোদ আর্যের ছেলে পুলকিত, তাঁর বন্ধু সৌরভ ও অঙ্কিতকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বর্তমানে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে রয়েছেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রসংঘে নিরাপত্তা পরিষদ: ভারতের স্থায়ী সদস্যপদের পক্ষে সমর্থন রাশিয়ার
Leave a Reply