নিউজ ডেস্ক: বাগুইআটির দুই ছাত্র খুনের ঘটনায় সরগরম রাজ্য রাজনীতি। গোটা ঘটনায় প্রথম থেকেই পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার পরই ঘটনাস্থলে পৌঁছল গোয়েন্দা টিম। বুধবার বিকেলে নিহত অতনু দের বাড়িতে পৌঁছন মন্ত্রী সুজিত বসু। একই সঙ্গে যান বিধাননগরের পুলিশ কমিশনার সুপ্রতিম সরকার। স্থানীয়রা প্রথমে পুলিশকে দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। সুপ্রতিম সরকারকে জগতপুরে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। পরে অবশ্য নিহত কিশোর অতনুর বাড়িতে যান পুলিশ কমিশনার। সিআইডি টিমের সদস্যরা মৃতদের পরিবারের লোকেদের সঙ্গে কথা বলেন।
প্রসঙ্গত, প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুলিশের ভূমিকার কড়া সমালোচনা করেন। তিনি বৈঠকের শুরুতেই পুলিশকে ভর্ৎসনা করে বলেন, বসিরহাট থানায় মৃতদেহ পড়েছিল। বসিরহাট থানা কী করছিল? মৃতদেহ পড়ে রইল অথচ পরিচয় জানতে কোনও ব্যবস্থা নিল না? এত অবহেলা কেন?
আরও পড়ুন: পথ দেখাচ্ছে বাংলা, ওষুধ পরিবহণেও ড্রোনের ব্যবহার, ১০৪ কিমি পাড়ি ১ ঘণ্টায়
এদিনের প্রশাসনিক বৈঠকে নবান্ন সভাঘরে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি, এডিজি আইন শৃঙ্খলা সহ সমস্ত পুলিশ আধিকারিকরা। উপস্থিত ছিলেন বসিরহাট থানার পুলিশ এবং বিধাননগরের পুলিশ কমিশনার। ডিজির উপস্থিতিতেই বিধাননগরের পুলিশ কমিশনার সুপ্রতিম সরকারকে ভর্ৎসনা করেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: অপেক্ষার অবসান: রেলপথে জুড়তে চলেছে বাঁকুড়া-মসাগ্রাম
অতনু ও অভিষেকের পরিবারের এখন দাবি, মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্রকে দ্রুত খুঁজে বার করে শাস্তি দিতে হবে। পরিবারের সদস্যরা প্রশ্ন তুলেছেন, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ পাবার পর কেন সক্রিয় হবে প্রশাসন। বারবার অভিযোগ জানানো সত্ত্বেও আগে থেকে কেন কোনও পদক্ষেপ নিলো না তারা। পুলিশের এই চরম কাণ্ডজ্ঞানহীনতার জন্য অকালে ঝড়ে গেল তরতাজা দুটি প্রাণ।
Leave a Reply