ইউ এন লাইভ নিউজ: আগামীকাল অর্থাৎ শনিবার রয়েছে সপ্তম ও শেষ দফার নির্বাচন। দেশের ৫৭ আসনে চলবে ভোটগ্রহণ। তার মধ্যে রয়েছে বাংলার নয় কেন্দ্র। আর তারই আগে বৃহস্পতিবার রাতে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের দপ্তরে যান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও শিশির বাজোরিয়া। তাঁরা অভিযোগ করেন, ষষ্ঠ দফার ভোটে কেশপুর–সহ একাধিক বুথে ওয়েব কাস্টিং বন্ধ রেখে ভোট চলেছে। বিজেপির দাবি, সপ্তম দফায় ওয়েব কাস্টিং বন্ধ থাকলে সেই বুথে ভোট বন্ধ রাখতে হবে। এরপরই কড়া সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন। শনিবার বুথে ওয়েব কাস্টিংয়ের ক্যামেরা বন্ধ থাকলে ভোটগ্রহণও বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে কমিশনের তরফে।
এছাড়াও কমিশন জানিয়েছে, ভোটগ্রহণ পর্বে ক্যামেরা যে চলছে, তা নিশ্চিত করতে হবে প্রিসাইডিং অফিসারকে। কোনও কারণে ওয়েব কাস্টিং বন্ধ হলে তার উপযুক্ত জবাব দিতে হবে সংশ্লিষ্ট প্রিসাইডিং অফিসারকে। জবাব সন্তোষজনক না হলে তৎক্ষণাৎ তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হবে। প্রিসাইডিং অফিসারের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ উঠলে বিভাগীয় তদন্তও হতে পারে। কমিশন সূত্রে আরও জানা যাচ্ছে, ১০০ শতাংশ বুথেই ওয়েব কাস্টিং র ব্যবস্থা থাকবে । তবে কিছু জায়গায় ওয়েব কাস্টিং সম্ভব নয়। কারণ ওই সমস্ত জায়গায় মোবাইল নেটওয়ার্ক খুবই দুর্বল বা একদমই নেই।
তাছাড়াও এদিন ভোটের হার বেড়ে যাওয়ার খবর ভুয়ো বলে ঘোষণা করল কমিশন। তাঁরা জানিয়েছে , ভোটের হার বেড়ে যাওয়া নিয়ে যে বিষয়টি ছড়িয়ে পড়েছে তা শুধুমাত্র গুজব। নির্বাচনী আধিকারিক রাজীব কুমার জানিয়েছেন, ভোটের হার বেড়েছে বলে সারা দেশে ভুয়ো খবর ছড়িয়ে পড়েছে। এই তথ্য সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। তাঁর কথায় নির্বাচনের প্রার্থী ও এজেন্টকে সেভেন্টিন সি ফর্মের কপি যেহেতু দিয়ে দেওয়া হয় সেক্ষেত্রে ভোটের হার বাড়ানো কোনোমতেই সম্ভব নয়। ভোটের হার ও ইভিএম সংক্রান্ত তথ্য নির্বাচন কমিশন তাদের ওয়েবসাইটে আপডেট করে দেয় বলে রাজীব কুমার অবগত করেছেন।
Leave a Reply