নিউজ ডেস্ক: হিংসা-সংঘর্ষ-বিক্ষোভ। কিন্তু চার বছর অন্তর বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয়, বরং বলা যেতে পারে সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা ফুটবলের বিশ্বকাপ। এই বিশ্বকাপের ফলাফল নিয়েও সংঘর্ষ-বিবাদ? চলতি বছরের বিশ্বকাপে প্রতিনিয়ত দেখা যাচ্ছে একটাই ছবি, অঘটনের পর অঘটন। সৌদি আরবের কাছে আর্জেন্টিনা, জাপানের কাছে জার্মানি, ইরানের কাছে ওয়েলসের পর ২৭ নভেম্বর, রবিবার মরক্কোর সামনে কাতার কাপযুদ্ধে লজ্জার হার হেরেছে বিশ্বকাপের অন্যতম তারকা খচিত দল বেলজিয়াম। রবিবার বেলজিয়াম-মরক্কোর ম্যাচের পরই ব্রাসেলসে অশান্তি শুরু হয়। একের পর এক গাড়ি ও স্কুটারে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। নিমেষের মধ্যেই বিশ্বকাপের ম্যাচে হারের শোক দাঙ্গায় রুপান্তরিত হয়। অশান্তি রুখতে ময়দানে নামে পুলিশ। কমপক্ষে ১২ জন বিক্ষোভকারীকে আটক ও একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
রবিবার গ্ৰুপ ‘এফ’-এর ম্যাচে মরক্কোর কাছে ২-০ গোলে হেরে যায় বেলজিয়াম। এর পরই বেলজিয়ামের একাধিক শহরে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। হিংসা ছড়ায় নেদারল্যান্ডের একটি বন্দর শহরেও। সেখানে অশান্তি থামাতে গিয়ে গুরুতরভাবে আহত হন একাধিক পুলিশ।
ব্রাসেলসের মেয়র ফিলিপ ক্লোজ ফুটবল ভক্তদের শহরের কেন্দ্র থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন এবং বলেছেন যে কর্তৃপক্ষ রাস্তায় শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য তাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। এমনকি এই সংঘর্ষে সাবওয়ে এবং ট্রাম চলাচলও পুলিশের নির্দেশে বিঘ্নিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: ক্যামেল ফ্লুর কোপ কাতারে, বন্ধ হবে কি বিশ্বকাপ? আশঙ্কায় ফুটবল বিশ্ব
শুধু তাই নয়, নেদারল্যান্ড সরকার জানিয়েছে, রটেরদাম বন্দর শহরেও হিংসা ছড়িয়ে পড়ে। ওখানেও বেলজিয়াম ও মরক্কো সমর্থকদের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ চলে। তাতে যোগ দেন কিছু স্থানীয় যুবকও। সংঘর্ষের সময় একে অপরের দিতে জ্বলন্ত আতসবাজি ছুড়তে শুরু করেন। জাতীয় পতাকা ছিঁড়ে ফেলা হয়। এছাড়াও কাচের ভাঙা বোতল ছোড়াছুড়ি করা হয়। ডাচ পুলিশের দাবি, অন্তত ৫০০ সমর্থক এই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছিল।
Leave a Reply