Bengal RANJI TROPHY Saurashtra

BEN vs SAU, Ranji Trophy Final: ইডেনে লজ্জার হার! ৯ উইকেটে বাংলাকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন সৌরাষ্ট্র

ইউ এন লাইভ স্পোর্টস ডেস্ক: ৩৩ বছরের খরা কাটানোর সুযোগ হল হাতছাড়া। সাড়ে তিনদিনেই ঘরের মাঠে রনজি ফাইনাল হলেও ফাইনালের চাপ নিতে পারল না বাংলা। ইডেনে সৌরাষ্ট্রের কাছে ১০ উইকেটে হেরে ৩৩ বছর পর রনজি জয়ের স্বপ্ন অপূর্নই থেকে গেল মনোজ তিওয়ারিদের কাছে। শেষ বার ১৯৮৯-৯০ মরসুমে রঞ্জি চ্য়াম্পিয়ন হয়েছিল বাংলা। এর পর থেকে কয়েক বার ফাইনালে উঠলেও রানার্স হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে। ঘরের মাঠে ফের স্বপ্নভঙ্গ হল বাংলার। এ বার ঘরের মাঠেও বিপুল চাপে ছিল বাংলা শিবির। প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৭৪ রানেই অলআউট হয়েছিল। জবাবে সৌরাষ্ট্র করে ৪০৪। তৃতীয় দিনের শেষে বাংলার দ্বিতীয় ইনিংসে ১৬৯-৪ স্কোর ছিল বাংলার। অনুষ্টুপ-মনোজ ৯৯ রান যোগ করে। যদিও অনুষ্টুপ আউট হয়ে ফেরেন ৬১ রানে।

ম্যাচের প্রথম ইনিংসে মনোজের বাংলা ঘরের মাঠে গুটিয়ে যায় ১৭৪ রানে। জবাবে সৌরাষ্ট্র তুলেছিল ৪০৪ রান। ২৩০ রানে পিছিয়ে থেকে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলা তোলে ২৪১। জয়ের জন্য সৌরাষ্ট্রর সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ১২। ১ উইকেট হারিয়ে ১৪ তুলে চ্যাম্পিয়ন হয়ে যায় সৌরাষ্ট্র। তৃতীয় দিনের শেষে বাংলার সংগ্রহ ছিল ৪ উইকেটে ১৬৯। অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি ৫৭ এবং শাহবাজ আহমেদ ১৩ রানে ক্রিজে ছিলেন। ৬১ রানে পিছিয়ে থেকে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করে বাংলা। সকালের দিকটা বাংলার কাছে ছিল খুবই চ্যালেঞ্জের।

চতুর্থ দিনে বড় পার্টনারশিপের আশায় ছিল বাংলা। কিন্তু এদিন শুরুতেই অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারির সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে ২৭ রানে আউট শাহবাজ। বাংলার আশা একেবারে তখন শেষের দিকে। অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি খোঁচা মেরে সাজঘরে ফিরলেন। ১৫৪ বলে ৬৮ রানে আউট মনোজ। এরপর কোন রকমে শেষ উইকেটে ঈশান পড়েল ও মুকেশ কুমার কিছুটা রান করেন। তাদের রানে ভর করে এক ইনিংসে হারের লজ্জার হাত থেকে বাঁচলো বাংলা। সৌরাষ্ট্রকে মাত্র ১১ রানের লিড দেয় বাংলা। ২৪১ রানে শেষ মনোজ তিওয়ারিরা।

জবাবে রঞ্জি চ্যাম্পিয়ন হতে মাত্র ১২ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ব্যাট করতে নামে সৌরাষ্ট্র। অবশ্য শুরুতেই আকাশ দীপের বলে সাজঘরে ফেরেন ঘোলি। এরপর খুব সহজেই জয় তুলে নেয় সৌরাষ্ট্র। ২০১৯-২০ পর ফের একবার রঞ্জি চ্যাম্পিয়ন হয় সৌরাষ্ট্র। আশা ছিল যে ৩৩ বছর পর মনোজ তিওয়ারিদের হাত ধরে হয়ত বাংলা ক্রিকেট দল রনজি ফাইনাল জিততে পারত। কিন্তু সেগুড়ে বালি।