ইউ এন লাইভ নিউজ: ২৩ জুলাই অর্থাৎ মঙ্গলবার সংসদে বাজেট অধিবেশন হয়। মঙ্গলবারই বাজেট পেশ করার পর একের পর এক ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিরোধী দলের নেতারা। বাজেটকে বাংলা বিরোধী বলেও আখ্যা দেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। বুধবার বাজেট প্রসঙ্গে লোকসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তার ব্যাখ্যা তুলে ধরলেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ তথা তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন বিজেপির বাজেটকে শরিক তুষ্ট বাজেট বলে কটাক্ষ করে অভিষেক বলেন, “বেছে বেছে এবারের বাজেটে তিনটি রাজ্যকে সবচেয়ে বেশি বঞ্চিত করা হয়েছে। এগুলি হল তেলেঙ্গানা, পশ্চিমবঙ্গ, কর্ণাটক। এটা কোনও কাকতালীয় ঘটনা নয়। এই তিন রাজ্যের ক্ষমতায় রয়েছে অবিজেপি দল। সেকারণেই এই বঞ্চনা।”
অভিষেক এই ‘BUDGET’ শব্দের প্রত্যেকটি অক্ষরের বিস্তারিত ব্যাখ্যা তুলে ধরেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। অভিষেকের কথায়, “বি মানে ব্রিটে। ক্ষমতায় আসার আগে বিজেপি বলেছিল, আচ্ছে দিন। ১০ বছরের জমানায় মানুষকে ৪০ টাকা দিয়ে আলু কিনতে হচ্ছে, গ্যাসের দাম ১ হাজার টাকা! মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতাই হচ্ছে বিজেপির আচ্ছে দিন।” কটাক্ষের সুরে অভিষেক আরও বলেন, জি ফর গ্যারেন্টি। জি ফর ঘোটালা। গ্যারেন্টি মানে জিরো ওয়ারেন্টি। অভিষেকের এহেন পরিসংখ্যান সমৃদ্ধ বাজেটের মাঝে মাঝেই শাসক টেবিল থেকে উঠে এসেছে আওয়াজ। পাল্টা বিরোধী শিবির থেকেও গলা তুলেছেন কল্যাণ বন্দোপাধ্যায়রা। কৃষকের প্রসঙ্গ অভিষেক টানতেই স্পিকার বলেন, “এই নিয়ে এর আগে সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা আলোচনা হয়েছে।” অভিষেক প্রতিবাদ জানানোর সাথে সাথে স্পিকার ফের বলেন, “আমি স্পিকারের চেয়ারে বসে বলছি মানে আপনাকে শুনতে হবে।”
স্পিকারের বক্তব্যকে সমর্থন জানিয়ে হাততালি দিয়ে ওঠেন বিজেপি-সহ এনডিএ-র শরিক সাংসদরা। যা দেখে অভিষেক বলেন, “যারা তালি বাজাচ্ছে তাদের জন্য সাতশো কৃষক মারা গেছে। এরা একজনের জন্যও শ্রদ্ধা জানিয়েছেন?” ফের শুরু হয় হট্টগোল। স্পিকার ওম বিড়লার উদ্দেশে অভিষেক বলেন, “আমি ৫০ বছরের পুরনো কথা বললে আপনি চুপ থাকেন, আর আট বছর আগের নোটবন্দির প্রসঙ্গে বলতে গেলে আপনি থামিয়ে দেন।” অভিষেক আরও বলেন, “টি ফর ট্র্যাজেডি। এই সরকারের সবচেয়ে বড় ট্র্যাজেডি হল কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে অপব্যবহার করা। বিরোধী দলের লোক হলেই মুখ বন্ধ করতে এজেন্সি লেলিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আমি, আমার স্ত্রী, সন্তান, বাবা-মা, আমার আইনজীবী কাউকে ছাড়া হয়নি। এজেন্সি দিয়ে আমার পুরো পরিবারকে বারেবারে হেনস্তা করা হয়েছে।” এদিন লোকসভার ভাষণে পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর প্রসঙ্গও টেনে আনেন অভিষেক। সংসদে বলেন, “সবকা সাথ সবকা বিকাশ মানে কি? মানে জো হামারে সাথ, হাম উনকো সাথ। বাংলার বিরোধী দলনেতা নিজেই একথা বলেছেন।”
Leave a Reply