ইউ এন লাইভ নিউজ: সামনেই দুর্গাপুজো। হাতে একেবারেই সময় নেই। মহালয়া থেকেই ‘ময়দানে’ নেমে পড়বেন সাধারণ মানুষ। আগাম প্রস্তুতি হিসাবে ইতিমধ্যে পুলিশ প্রশাসনের তরফে উচ্চ পর্যায়ে বৈঠক হয়েছে। তবে পুজোর আগে থেকে বহু জেলা থেকে মানুষ শহরে আসেন। বাজার হোক কিংবা ঠাকুর দেখা। ট্রেনেই চলে যাতায়াত। ব্যাপক ভিড় হয় শিয়ালদহ সহ অন্যান্য স্টেশনগুলিতে। এমনকি লোকাল ট্রেনগুলিতেও পা রাখার জায়গা থাকে না। আর এই অবস্থার কথা ভেবেই আগে থেকেই একাধিক সিদ্ধান্ত রেলের। সম্প্রতি শিয়ালদহে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়। যেখানে একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। পুজোর দিনগুলিতে যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্য এবং নিরাপত্তার দিকটা খতিয়ে দেখতেই এই বৈঠক হয়। দীর্ঘ বৈঠকে একাধিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে রেলের তরফে। এতে যাত্রীদের অনেকটাই সুবিধা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এক সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী প্রবল ভিড় সামাল দেওয়ার জন্যে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যেমন আরও টিকিট কাউন্টার খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যেমন শিয়ালদহ মেইন লাইনে ৪টি ও শিয়ালদহ দক্ষিণে ১টি কাউন্টার খোলা হচ্ছে। ওই সমস্ত কাউন্টারে বাড়তি কর্মীও মোতায়েন করা হচ্ছে। ট্রেন ইন্ডিকেশন বোর্ড ও প্যাসেঞ্জার অ্যাড্রেস বোর্ড নিয়ে যাত্রীদের মধ্যে একটা ক্ষোভ আছে। অনেক সময় ঠিক দেখায় না বলে দাবি। এই অবস্থায় এই সমস্ত ক্ষেত্রে বিশেষ নজর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। বিশেষ করে শিয়ালদহ, বিধাননগর, দমদম, নৈহাটির মতো ভিড় হয় এমন স্টেশনে ইন্ডিকেশন বোর্ড ও প্যাসেঞ্জার অ্যাড্রেস বোর্ডে বিশেষ নজরদারি রাখার কথা বলা হয়েছে।
পুজোর দিনগুলি তো বটে, আগের দিনেও গ্যালোপিং ট্রেনগুলি সব স্টেশনে যাতে স্টপেজ দেয় তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে খবর। অন্যতম ব্যস্ততম স্টেশনগুলির মধ্যে শিয়ালদহ, কলকাতা ও দমদম জংশনের নাম থাকবে। কয়েক হাজার মানুষ যাত্রা করেন। যাত্রীদের সুবিধার কথা ভেবেই ‘বিশেষ বুথ’ তৈরি করার কথা বলা হয়েছে। বিভিন্ন স্টেশনে অতিরিক্ত আরপিএফকে মোতায়েনের কথা বলা হয়েছে। অন্যদিকে মহিলাদের সুরক্ষায় রেলের বিশেষ ব্যবস্থা থাকবে বলেও সিদ্ধান্ত। এছাড়াও বিপদজনক লেভেল ক্রসিং’য়ে অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাহিনীকে মোতায়েনের কথাও ভাবা হয়েছে। এমনই একাধিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
Leave a Reply