মেয়ো রোডে চাকরি প্রার্থীদের সঙ্গে দেখা করতে গেলেন বিমান বসু, আশ্বাস পাশে থাকবার

নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের শিক্ষা দুর্নীতি নিয়ে বিক্ষোভে সামিল যোগ্য চাকরিপ্রার্থীরা। এবছর তাদের পুজো কাটল পথেই। কলকাতার মেয়ো রোডে, গান্ধী মূর্তির নীচে এসএসসি চাকরিপ্রার্থীরা বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন। বুধবার দশমীর দিন তাদের আন্দোলন ৫৭০ দিন পূর্ণ করল। এই দিনেই তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে গেলেন বর্ষিয়ান বাম নেতা বিমান বসু। বিজয়া দশমী উপলক্ষে মিষ্টিমুখও করালেন তাঁদের।

এসএসসি চাকরিপ্রার্থীরা শাসক দলের চোখ রাঙানিতে ভয় পান না। তাই বারবার বিক্ষোভ তুলে নেওয়ার কথা বলা হলেও, যোগ্য প্রার্থীরা তাঁদের বিক্ষোভ জারি রেখেছেন। অনেক জল্পনায় পর হাইকোর্টের আদেশ ছিল, এই বিক্ষোভ তোলা যাবেনা। তাই হাইকোর্টের নির্দেশ মেনেই তাঁরা চালিয়ে যাচ্ছেন বিক্ষোভ। তাঁদের আন্দোলনের এই দিনগুলিতে তাঁদের সঙ্গে দেখা করেছেন ইতিমধ্যেই অনেক তাবড় নেতা। বিমান বসুও গেলেন তাঁদের পাশে। বিমান বসু তাঁদেরকে আশ্বাস দিয়ে বলেন, “তোমাদের লড়াইয়ে আমরা পাশে আছি। কখনও নিজেদের একা ভেবো না। তোমরা যোগ্য। আর যোগ্যতা দিয়েই তোমরা চাকরি পাবে। একটু সময় লাগছে আর কি।”

আরও পড়ুন: চিকনগুনিয়ায় আক্রান্ত সৌরভ পত্নী ডোনা, নবমীর রাতে ভর্তি হতে হল উডল্যান্ডে

পুজো চলাকালীন বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে ধরণা মঞ্চে দেখা করতে গিয়েছিলেন মহম্মদ সেলিম। সেখানে গিয়ে সেলিম তৃণমূলকে এবং মুখ্যমন্ত্রীকে তুলোধোনা করেছিলেন। নবমীর দিন ধরণা মঞ্চে হাজির হতে দেখা গিয়েছিল বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। সেখানে তিনি বলেছিলেন, “অনেকে অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, কী হল সেসবের? সরকারের সদিচ্ছা থাকলে আদালতে হলফনামা দিয়ে বলুক, এদের সকলের চাকরি হোক। সরকারের কোনও আপত্তি নেই।”

বিমান বসুর মতন অন্যান্য বিরোধী নেতারাও যোগ্য প্রার্থীদের পাশে থাকবার আশ্বাস দিচ্ছেন। এদিকে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ, এনাদের বক্তব্য প্রার্থীরা আন্দোলন তুলে নিক। তাঁরা বাড়ি ফিরে যাক। কিন্তু সে কথা চাকরি প্রার্থীরা কোনও তোলেননি। সবমিলিয়ে শিক্ষা দুর্নীতি নিয়ে এই মুহূর্তে সরগরম হয়ে আছে রাজ্য রাজনীতি।

আরও পড়ুন: সিঁদুর খেলা: ঠিক কী কারণে এই রীতির চল জানেন? নেপথ্যে রয়েছে পৌরাণিক কাহিনী