বিজেপির ডাকা বন্ধে মিশ্র প্রভাব উত্তরবঙ্গে

নিউজ ডেস্ক: কালিয়াগঞ্জে নাবালিকাকে ধর্ষণ করে ‘খুন’ ও পুলিশের গুলিতে যুবক খুনের অভিযোগে উত্তরবঙ্গের ৮ জেলায় বনধের ডাক দিয়েছিল বিজেপি। শুক্রবার সকাল থেকে জেলায়-জেলায় বনধের প্রভাব পড়েছে। এদিন সকাল থেকেই কোথাও বাস আটকালেন বনধ সমর্থকরা। কোথাও আবার জোর করে দোকান বন্ধ করার ছবি সামনে এল। কোথাও আবার চোখে পড়ল পুলিশের সঙ্গে বনধ সমর্থকদের বচসা, ধস্তাধস্তি। মোটের উপর কালিয়াগঞ্জে নাবালিকা ‘ধর্ষণ করে খুন’ এবং পুলিশের গুলিতে যুবক খুনের অভিযোগে বিজেপির ডাকা বনধে মিশ্র প্রভাব পড়ল উত্তর বঙ্গের একাধিক জেলায়।

শুক্রবার সকাল থেকে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বনধের প্রভাব পড়তে দেখা গিয়েছে। কোচবিহারের ঘুঘুমারিতে বনধের সমর্থনে এদিন সকালে মিছিল করেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। পাল্টা বনধের বিরোধিতায় মিছিল করে তৃণমূল। দুটি মিছিল কাছাকাছি আসতেই দুপক্ষের মধ্যে বচসা, হাতাহাতি শুরু হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে আসরে নামে পুলিশ। অন্যদিকে, এদিন কোচবিহারের চাকির মোড়ে সরকারি বাস লক্ষ্য করে ইট ছোড়ে বনধ সমর্থকরা। ইটের আঘাতে বাসের সামনের কাচ ভেঙে যায় বলে জানতে পারা গেছে।

অন্যদিকে, কোচবিহারের তুফানগঞ্জে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার ডিপোর সামনে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। বন্ধ সমর্থনকারীদের টেনে-হিঁচড়ে তুলে দেয় পুলিশ। বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। জলপাইগুড়ি শহরেও এদিন সকাল থেকে বনধের জেরে রাস্তাঘাট ফাঁকাই ছিল। হাতেগোনা গাড়ি চলেছে রাস্তায়। অন্যদিকে উত্তর দিনাজপুরের সদর শহর রায়গঞ্জে এদিন সকাল থেকেই বনধের ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। রাস্তায় গাড়ি চলাচল কার্যত বন্ধ রয়েছে। বন্ধ রয়েছে সব দোকান-বাজার। বনধকে কেন্দ্র করে যে কোনও ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে সচেষ্ট পুলিশ। রায়গঞ্জের বিভিন্ন মোড়ে-মোড়ে পুলিশকর্মীদের মোতায়েন করা হয়েছে।