শাহ-নাড্ডা বৈঠক: গত লোকসভা নির্বাচনে হারা আসন ফেরাতে তৎপর বিজেপি

নিউজ ডেস্ক: চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের আগে বিরোধীদের এক জোট করতে সলতে পাকানো শুরু করে দিয়েছেন নীতীশ কুমার। অন্যদিকে নিজেদের ঘর গোছাতে আসরে নেমে পড়েছে গেরুয়া শিবিরও। ১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে প্রায় ৩০০-র বেশি আসনে জিতে দ্বিতীয়বার সরকার গঠন করে বিজেপি। কিন্তু পাঁচ রাজ্যের ১৪৪টি আসনে খুব কম ভোটের ব্যবধানে হার মানতে হয় কেন্দ্রের শাসকদলকে। এবার সেই আসনগুলিকে পুনরুদ্ধার করতে বৈঠকে বসেন বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব।  

১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে একক সংখ্যা গরিষ্ঠতা নিয়ে বিজেপি সরকার গঠন করলেও ২৪-এর নির্বাচনে অন্যদলের হাত ধরতে হতে পারে বলে, বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের অনুমান। এদিকে সাড়ে আট বছর ক্ষমতায় থাকার পর বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব বুঝতে পারছে প্রতিষ্ঠান বিরোধী হাওয়া। এই পরিস্থিতিতে জে পি নাড্ডা ও অমিত শাহের মতো শীর্ষ নেতারা বৈঠকে বসেন। বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গ, মহারাষ্ট্র, তেলঙ্গানা, উত্তরপ্রদেশ ও পঞ্জাবের ১৪৪টি লোকসভা আসন নিয়ে আলোচনা হয়।

মাস দুয়েক আগে স্মৃতি ইরানি, ভূপেন্দ্র যাদব, পুরষোত্তম রূপালা, গজেন্দ্র সিংহ শেখাওয়াত, এস পি বাঘেলের মতো কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের ওই পাঁচটি রাজ্যের বিভিন্ন লোকসভা কেন্দ্রের সমীক্ষার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বে ছিলেন উত্তরপ্রদেশের ওবিসি নেতা এস পি বাঘেল। তিনি মথুরাপুর ও আরামবাগ লোকসভা কেন্দ্র ঘুরে বিস্তারিত রিপোর্ট দেন।

আরও পড়ুন: পঞ্চায়েতে তৃণমূলকে আটকাতে বামের সঙ্গে অলিখিত সমঝোতায় রাম

ওই রিপোর্টে রাজ্য নেতৃত্বের দাবি মেনে নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে বঘেল জানান যে, পশ্চিমবঙ্গে গো-বলয়ের মতো জাতভিত্তিক ভোট হয় না। তাই এ রাজ্যে বিজেপির চিরাচরিত জাতভিত্তিক ভোটের রাজনীতির বদলে বিকল্প পথের প্রয়োজন রয়েছে। পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক সন্ত্রাস, বিরোধী দলের সমর্থকদের সরকারি সুবিধা না পাওয়ার অভিযোগ, সংখ্যালঘুদের মন জয়ের রাজনীতির মতো বিষয়গুলিও স্থান পায় তাঁর রিপোর্টে।

ইতিমধ্যে লোকসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে দিল্লিতে কংগ্রেস সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করেছে নীতীশ কুমার। রাহুল গান্ধী ছাড়াও, সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব ও বাম নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন তিনি। দেখা করার কথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ারের সঙ্গেও।