নিউজ ডেস্ক: মধ্যরাতে টেট চাকরিপ্রার্থীদের ৬০ ঘন্টার আমরণ অনশনে পুলিশের বলপ্রয়োগ। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিবাদের ডাক দেয় বিজেপি। শুক্রবার দুপুরে ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেট চাকরিপ্রার্থীদের সমর্থনে পথে নামে অগ্নিমিত্রা পাল, সজল ঘোষসহ গেরুয়া ব্রিগেডের যুব মোর্চার কর্মীরা। ভিক্টোরিয়া হাউসের কাছে পুলিশের বাধার সম্মুখীন হলেও, পিছপা হয়নি বিক্ষোভকারীরা। সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান ঝড় তোলে বিজেপি নেতা-নেত্রীরা। ক্রমেই উত্তপ্ত হয় পরিস্থিতি। এরপরই পুলিশের পক্ষ থেকে শুরু হয় ধরপাকড়। আটক করে লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয় বেশ কয়েকজন নেতা-নেত্রীকে।
শুক্রবার হেস্টিংসের দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে ধর্মতলার উদ্দেশ্যে মিছিল শুরু করে বিজেপি। কিন্তু ভিক্টোরিয়া হাউসের কাছে বাধার সম্মুখীন হয় বিক্ষোভকারীরা। এরপরই রাস্তায় বসে পড়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাসরি আক্রমণ করেন যুব মোর্চা সভানেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল। তিনি জানান, ‘হয় চাকরি দিন, নয়তো পদত্যাগ করুন। প্রতিবাদীদের আটকে রাখতে পারবেন না।’ এমনকি পুলিশের অভিযানের বিরুদ্ধে সমালোচনা করা হয় বিজেপির পক্ষ থেকে। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতেই, পুলিশের পক্ষ থেকে বিক্ষোভকারীদের আটক করে লালবাজার নিয়ে যাওয়া হয়।
বিজেপির পাশাপাশি কংগ্রেসের পক্ষ থেকেও করা হয় মিছিল। টেট প্রার্থীদের আন্দোলনে পুলিশের বলপ্রয়োগের ঘটনার বিরুদ্ধে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরীর নেতৃত্বে মেয়ো রোডের দিকে যাত্রা শুরু করে কংগ্রেস কর্মীরা। এর আগে, শুক্রবার সকালে SFI-DYFI-এর সদস্যরাও বিক্ষোভে ফেটে পড়েন পর্ষদ অফিসের সামনে। প্রতিবাদ কর্মসূচিকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়াতেই পুলিশের পক্ষ থেকে আটক করা হয় মীনাক্ষী মুখার্জি সহ একাধিক বাম ছাত্র সংগঠনের কর্মীদের।
আরও পড়ুন : হিটলার বাহিনী বলে তৃণমূলকে আক্রমণ বিজেপির, পাল্টা জবাব শাসকদলের