নিউজ ডেস্ক : দুর্গাপুজোয় জনসংযোগে ‘শূন্য’ বিজেপি। এক্ষেত্রে বিজেপিকে টেক্কা দিয়েছে সিপিএম। পুজোর কদিন বুক স্টলে স্টলে ভিড় দেখে বামেরা ফের অক্সিজেন পেয়েছে। পুজো মিটতেই তাই কালক্ষেপ না করে পথে নেমে পড়েছে বিজেপিও। পুজোর আগে রাজ্য সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে পথে নেমে, নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়ে ভালোই সাড়া পেয়েছিল তারা। কিন্তু দুর্গাপুজোতে মিঠুন চক্রবর্তীকে এনেও জনসংযোগে ব্যর্থ হয়েছে বিজেপি। এই পরিস্থিতিতে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এবার সিঙ্গুরকে হাতিয়ার করে ফের আন্দোলনে ঝাঁপাতে চাইছে গেরুয়া শিবির।
পুজো মিটতে না মিটতেই এবার নতুন আন্দোলনের কর্মসূচি গ্রহণ করেছে বিজেপি। কিন্তু নজরে এবার সিঙ্গুর। যে এলাকা থেকে আন্দোলন করে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল তৃনমূলের উত্থান শুরু হয়, সেই এলাকা এবার বিজেপির আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দু। সিঙ্গুর থেকেই রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে কর্মসংস্থানে ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে, টানা চারদিনের পদযাত্রা করবে রাজ্য বিজেপি। সিঙ্গুর থেকে শিল্পকে বিসর্জন দিয়েছিল তৃনমূল এবং তারপর থেকেই কর্মসংস্থানে ভরাডুবি শুরু হয়েছে রাজ্যে, এই অভিযোগ তুলেই চারদিন হাঁটবেন বিজেপির নেতা-নেত্রীরা।
সিঙ্গুর থেকে যুব মোর্চার ব্যানারে এবং সুকান্ত মজুমদার ও শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্ব হবে এই পদযাত্রা। সিঙ্গুরের যে জমিতে টাটা ন্যানো গাড়ি কারখানা হওয়ার কথা ছিল, সেখান থেকে শুরু হবে মিছিল। কিন্তু সিঙ্গুরই কেন? বিশেষজ্ঞদের ধারণা, পঞ্চায়েত ভোটের আগে বিজেপি সিঙ্গুর থেকে আন্দোলন শুরু করে নিজেদের কৃষক দরদী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চাইছে। আবার কর্মসংস্থানের দাবিতে সরব হয়ে তাঁরা শিল্পপ্রেমী হয়ে উঠতেও চাইছেন। একাধারে কৃষকদরদী, অন্যদিকে শিল্পপ্রেমী মনোভাবকেই তুলে ধরতে চাইছে বঙ্গ বিজেপি।
আরও পড়ুন: আমজনতার মতো সবজি বাজারে দর কষলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী, অগ্নিমূল্যের আঁচ পেলেন কি?
Leave a Reply