নিউজ ডেস্ক: সোমবার ফের সৌমেন্দুকে ডেকে পাঠায় কাঁথি থানার পুলিশ। একাধিক দুর্নীতির অভিযোগে এর আগেও তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। তাঁর বিরুদ্ধে তৃণমূলের অভিযোগ, শ্মশানের জমি দখল করে দোকান তৈরি করেছে শিশির পুত্র। এছাড়াও ত্রিপল চুরি ও স্ট্রিটল্যাম্পের টাকা নয়-ছয়ের অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
সৌমেন্দুকে থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিচ্ছু করতে পারবেন না। ওঁকে সুদে-আসলে ফিরিয়ে দেব। সৌমেন্দুর পাশে আছে রাজ্য বিজেপি। অন্যদিকে সৌমেন্দু জানিয়েছেন, আইনের মাধ্যমেই জবাব দেবেন তিনি।
২০২০ সালের ডিসেম্বরে শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দেয়। তখন পুরসভার চেয়ারম্যান ও প্রশাসক পদে ছিলেন সৌমেন্দু। শুভেন্দু বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরেই সৌমেন্দুকে সরিয়ে দেয় তৃণমূল। তার কয়েক মাস পরেই বিজেপিতে যোগ দেয় শুভেন্দুর ছোটভাই। এরপরই সৌমেন্দুর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তোলে তৃণমূল।
আরও পড়ুন: এলন মাস্ক এভরিথিং অ্যাপ: কী এই অ্যাপ? বানানোর কারণই বা কী? জানুন বিস্তারিত
গ্রেফতারি এড়াতে আদালতে দ্বারস্থ হন বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি সৌমেন্দু। তখন আদালত জানিয়েছিল, সৌমেন্দুকে গ্রেফতার করা যাবে না। তবে সংশ্লিষ্ট মামলার তদন্তে তাঁকে সহযোগিতা করতে হবে। এর পরেই শুক্রবার সৌমেন্দুকে ডেকে পাঠায় কাঁথি থানার পুলিশ। তারপর সোমবার ফের তাঁকে তলব করে।
Leave a Reply