নিউজ ডেস্ক: যে সমস্ত সরকারি স্কুলে অধিকাংশ ছাত্র-ছাত্রীই প্রথম প্রজন্মের শিক্ষার্থী তাদের জন্য বইমেলার আয়োজন করছে একটি সংগঠন। এই সংগঠনের উদ্দেশ্য হল, ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনায় উৎসাহ দেওয়া এবং খুব সহজে তাদের হাতে বই তুলে দেওয়া।
প্রাক্তণ অধ্যক্ষ মঞ্জিরা ঘোষ এই বিষয়ে বলেন, দরিদ্র পরিবারের শিশুদের হাতে আমরা আরও সহজে বই তুলে দিতে চাই। আমরা যদি তাদের হাতে বই তুলে দিতে না পারি, তাহলে কীভাবে আশ করব ওই ছাত্র-ছাত্রীরা বইয়ের প্রতি আগ্রহী হবে!
মঞ্জিরা ঘোষ জানিয়েছেন, এই পর্যন্ত তাঁরা সাতটি বইমেলা করেছে। তাঁরা সেই সমস্ত স্কুলগুলিকে বেছে নিচ্ছেন, যেখানে এই বইগুলি খুব সহজে পাওয়া যায় না। সম্প্রতি বারাসতের একটি স্কুলে তাঁরা বইমেলার আয়োজন করেন। সেই বই মেলায় এক দুধ বিক্রেতা মহিলা আসেন। তিনি নিজে কখনও স্কুলে যাননি। কিন্তু তিনি চেয়েছিলেন তাঁর মেয়ে স্কুলে যাক। পড়াশুনো করুক।
তিনি আয়োজকদের বলেছিলন, সব দুধ বিক্রি হয়ে গেলে তিনি আবার আসবেন। বেশ কয়েক ঘন্টা পরে তিনি ফিরে আসেন এবং তাঁর তৃতীয় শ্রেণিতে পড়া মেয়ের জন্য একটি বই কেনেন। অন্যদিকে গড়িয়ার এক স্কুলে একাদশ শ্রেণির তিন ছাত্রী এসেছিল। তারা একজন কার্ল মার্কস ও অন্যজন অ্যডলফ হিটলারে সম্পর্কে দুটি বই কেনেন।
গড়িয়ার বোরালের স্বামীজি বিদ্যাপীঠ হাইস্কুলের সহকারী শিক্ষিকা সোমা ঘোষ দাস বলেন, “সব ছাত্র-ছাত্রীরা বই কিনতে পারে না। কিন্তু তাদের মধ্যে অনেকে সময় পেলেই বই পড়ে। শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশ দরিদ্র পরিবার থেকে আসে। তাদের কারো বাবা অটো চালক, কারো বাবার মুদির দোকান। সবসময় সন্তানদের তাঁরা বই মেলায় নিয়ে যেতে পারেন না।কিন্তু স্কুলই যদি বই মেলার আয়োজন করে তাহলে নতুন সুযোগ তৈরি হবে।
আরও পড়ুন: দীপাবলিতে নিয়ন্ত্রণে বায়ুদূষণ, রেকর্ড কলকাতায়, চার বছরে সবচেয়ে কম দিল্লিতে
আয়োজকদের একজন বলেন, ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে বই তুলে দিলেই হবে না। যে বিষয়ে তাদের উৎসাহ বেশি সেই ধরের বই দিতে হবে। তবেই ছেলে-মেয়েদের মধ্যে বই পড়ার উরসাহ আরোও বাড়বে।
Leave a Reply