Abhijit-Gangopadhyay-BJP

Abhijit Gangopadhyay: “আইপ্যাকের ছেলেরাই এসেছিল ওয়াকি-টকি হাতে এলাকায় গণ্ডগোল করতে”: বিস্ফোরক অভিযোগ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

ইউ এন লাইভ নিউজ: আগামীকাল শেষ দফার নির্বাচন। আগামী ৪ মে লোকসভা ভোটের ফল ঘোষণা হতে চলেছে। এর মাঝেই উত্তেজনা ছড়াল কোলাঘাট স্ট্রং রুম চত্বরে। ওয়াকি-টকি হাতে স্ট্রং রুমের পাশে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করছিল কয়েকজন। গ্রামবাসীদের নজরে পড়েছিল বিষয়টা। খবর চলে যায় বিজেপি কর্মী সমর্থকদের কাছে। আগেই বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব ইভিএম কারচুপির আশঙ্কা করে কর্মী সমর্থকদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছিল। বিজেপি কর্মী সমর্থকরা গিয়ে গিয়ে ওই যুবকদের ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। আর তা নিয়ে অশান্তি ছড়াল কোলাঘাট স্ট্রং রুম চত্বরে। ঘটনাস্থলে যায় বিশাল পুলিশ বাহিনী।

তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের ইভিএম রাখার জন্য স্ট্রং রুম করা হয়েছে কোলাঘাট কে.টি.পি.পি হাই স্কুলকে। আর সেই স্কুলের পিছনেই মেসাড়া গ্রাম। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, যে গাড়িতে করে কয়েকজন দুষ্কৃতীরা হাতে ওয়াকি টকি নিয়ে ঘোরাফেরা করছে। আর তারপরেই বিজেপি কর্মী সমর্থকরা ওই দুষ্কৃতীদের আটকে বিক্ষোভ দেখায়। ঘটনাস্থলে যায় কোলাঘাট থানার সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী। যদিও ওই যুবকদের কাউকে আটক বা গ্রেফতার করা হয়নি। তাঁদেরকে সেখান থেকে সরিয়ে দেয় পুলিশ।

বিজেপি কর্মীর অভিযোগ, “ইভিএম চেঞ্জ করার জন্য তৃণমূল কংগ্রেসের আইপ্যাক-এর ছেলেরা এসেছিল। তবে আমরা প্রতিরোধ করার পর পুলিশের সাহায্য নিয়ে তারা চলে যায়।” আর এই ঘটনা ঘিরে চলছে রাজনৈতিক তরজা। ঘটনাস্থলে পৌঁছান তমলুক লোকসভার বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “আইপ্যাকের ছেলেরাই এসেছিল এলাকায় গণ্ডগোল করতে। এই ঘটনা ঘিরে পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের মধ্যে হয় তীব্র বাতানুবাদ চলে। পরে রাতে পুলিশ গিয়ে অবস্থা স্বাভাবিক করে।”

যদিও তৃণমূলের বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করে ব্লক তৃণমূল সভাপতি অর্ণব চক্রবর্তী জানিয়েছেন, “যত দিন যাচ্ছে ভেতরের রিপোর্ট এসেছে যে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় হারতে চলেছেন। আর এই পরিস্থিতি থেকে রেহাই পেতেই এই ধরণের মিথ্যা অপপ্রচার করছেন। মুখ্যমন্ত্রী-সহ সমগ্ৰ নারী জাতিকে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেছেন বিজেপি প্রার্থী, তার ফল ইভিএম-এ পাবেন।”

উল্লেখ্য, গত সপ্তাহেই বিজেপির তরফে সৌমিত্র খাঁ, লকেট চট্টোপাধ্যায়, সুকান্ত মজুমদার সহ দাবি করেছিলেন, ইভিএম কারচুপি করা হতে পারে। সুকান্ত মজুমদারের কথায়, “আমরা আমাদের কর্মীদের সব জায়গাতেই সতর্ক থাকতে বলেছি। কারণ ছলের দুর্বুদ্ধির অভাব হয় না। দোসর আই প্যাক। কীভাবে একজন টুকরে টুকরে গ্যাঙের মহিলাকে কলকাতা পুলিশের শেল্টারে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।চক্রান্ত থেকে সাবধান থাকতে হবে। EVM গুলোকে যদি বাঁচাতে পারি তার চেষ্টা করতে হবে।”