ইউ এন লাইভ নিউজ: বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগকে কেন্দ্র করে রাজ্য ও রাজ্যপালের সংঘাত প্রতিনিয়তই হয়ে চলেছে। বুধবার সন্ধ্যায় রাজভবন থেকে ‘রাজ্যপালের রিপোর্ট কার্ড’ নামে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। তারপর বৃহস্পতিবার আবারও সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করে হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ্যপাল। তিনি পোস্টের বক্তব্য, রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতরের বেআইনি নির্দেশ মেনে যে সব উপাচার্যরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজে বাধা প্রদান করছেন বা স্তব্ধ করছেন তাঁরা সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরিপন্থী কাজ করছেন।
উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে রাজ্য রাজ্যপালের মতো বিরোধ হয়ে চলেছে। এর মধ্যেই মালদার গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী উপাচার্যকে সরানো নিয়েও গোল বাঁধে। সম্প্রতি তৃণমূলের অধ্যাপক সংগঠন ‘ওয়েবকুপা’র সভা বসেছিল গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে। সভাপতি হিসাবে সেখানে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। আর ঘটনাচক্রে তার পরই রাজ্যপালের কাছ থেকে রজতকিশোর দে’র কাছে একটি চিঠি আসে। তাতে উল্লেখ করা ছিল, অস্থায়ী উপাচার্যের পর থেকে তাঁকে সরানো হচ্ছে। কিন্তু কেন সরানো হচ্ছে, তা চিঠিতে স্পষ্ট করে উল্লেখ করা ছিল না। বুধবার রাজভবনের তরফ থেকে রাজ্যপালের একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। লেখা ছিল, “সরকারের উচ্চশিক্ষা দফতরের বেআইনি আদেশে যে সকল উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ স্তব্ধ করে করে রেখেছেন, আচার্য তাঁদের সতর্ক করছেন।’’ এরপর বৃহস্পতিবার আরও একবার সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করে সেই বার্তাই দিলেন রাজ্যপাল।
অন্যদিকে ‘রাজ্যপালের রিপোর্ট কার্ড’-কে উদ্দেশ্য করে, ব্রাত্য বসু জানান, গৌড়বঙ্গ ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সব ক্ষমতাও কেড়ে নিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বলে অর্ডার জারি করেছে রাজভবন। সম্প্রতি গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে অপসারণ করেছিলেন রাজ্যপাল। তৃণমূল কংগ্রেসের অধ্যাপক সংগঠনের অনুষ্ঠান গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত হওয়ায় তাঁকে অপসারণ করা হয়েছিল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। যদিও সেই উপাচার্যকেই পুনরায় বহাল রাখার নির্দেশিকা জারি করে রাজ্যের উচ্চ শিক্ষা দফতর। আর এবার গতকাল রাতেই রাজভবনের তরফে জারি করা অর্ডারে স্পষ্ট বলে দিয়েছে, যাদবপুর বা গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের রূপাচার্য হিসেবে থাকলেও যে অর্ডার বা নির্দেশিকা জারি করবেন সেগুলো হবে বেআইনি। শুধু তাই নয় বুধবার রাতে রাজভবনের তরফে প্রকাশ করা রিপোর্ট কার্ডে উচ্চশিক্ষা দফতরের কড়া সমালোচনা করা হয়েছে।
Leave a Reply