ব্রাজিল -২ : সার্বিয়া – ০
স্পোর্টস ডেস্ক: জয় দিয়েই শুরু হল, ব্রাজিলের বিশ্বকাপ অভিযান। প্রথম ম্যাচে সার্বিয়াকে ২-০ গোলে হারিয়ে দিল। পাঁচ বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিলের এবারের লক্ষ্য ‘হেক্সা মিশন’। সেভাবেই শুরু হল।
টুর্নামেন্ট ফেভারিট হয়ে এবার প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমে আর্জেন্টিনা আর জার্মানি প্রথম ম্যাচ হেরে গিয়েছে। চাপ বেড়েছে তাদের উপর।
তাই সকলের নজর ফেবারিট ব্রাজিলের দিকে ছিল। সেই দল প্রথমার্ধে হতাশ করেছিল। দ্বিতীয়ার্ধে রিচার্লিসনের দুর্দান্ত দুই গোলে সার্বিয়াকে ২-০ গোলে হারিয়ে বিশ্বকাপ দৌড় শুরু হল ।
এই ম্যাচে খেলতে নামার আগে অনেক কিছু মাথায় রাখতে হচ্ছিল ব্রাজিলকে।
কাতার বিশ্বকাপে ‘অঘটনের’ পালা চলেছে। ব্রাজিলের উপর তাই চেপে বসেছিল প্রত্যাশার চাপ। এমন দুই বাড়তি চাপ নিয়ে বৃহস্পতিবার মাঝরাতে লুসাইল স্টেডিয়ামে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলার মানসিকতায় প্রথম একাদশ সাজিয়ে ছিলেন ব্রাজিল কোচ তিতে। তবুও প্রথমার্ধে মোটেই ছন্দে খেলতে পারেনি নেইমার বাহিনী। গোল শূন্য অবস্থায় শেষ হয়। গোল হওয়ার মতো সুযোগটি আসেনি তা নয়। সহজ দুটি সুযোগ হাতছাড়া করে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
৩৪ মিনিটে রাফিনহা একেবারের ফাঁকায় পেয়ে যাওয়া বল সার্বিয়ার জলে পাঠাতে পারেননি। আরও সাত মিনিট পরেই ভিনিসিয়াস সামনে স্রেফ গোলরক্ষককে পেয়েও তেকাঠিতে বল রাখতে পারেননি। এই অর্ধে সেলেকাওদের একটি শট ক্রসবারে লেগে ফিরেও আসে।
বিরতির পর মাঠে নেমেই আক্রমণের চাপ বাড়াতে থাকে ব্রাজিল। শুরুতেই সুযোগ হাতছাড়া করেন রাফিনহা। আক্রমণের চাপে নড়বড়ে দেখায় সার্বিয়ার রক্ষণকে । ম্যাচের ৬০ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে লেফট ব্যাক অ্যালেক্স সান্দ্রো জোরালো শট নেন। তাও বার কাঁপিয়ে ফিরে আসে। ৬৩ মিনিটে গোলের খরা কাটে ব্রাজিলের। ভিনিসিয়াস বক্সে ঢুকে জোরালো শট নেন। গোলরক্ষক ওই শট আটকে দিলেও সামনে থাকা রিচার্লিসনের যে শট নেন, তা জলে জড়িয়ে যায়।
ম্যাচের ৭৩ মিনিটে রির্চালি আবার গোল করেন।
ব্রাজিল পায় দ্বিতীয় গোলটি। এবারও সেই গোলের রাস্তা খুলে দেন ভিনিসিয়াস। তিনি বক্সের বাঁ প্রান্ত থেকে ঠিক মাঝখানে থাকা রিচার্লিকে নিখুঁত পাস দেন বাতাসে ভাসিয়ে। আর সেই বলে চকিতে বাইসাইকেল ভলি মারেন রিচার্লিসন। জালে বল আশ্রয় নিয়েই ব্রাজিল শিবিরে উল্লাসের ঢল নামে।
দুই গোলে এগিয়ে গিয়ে, আক্রমণের পর আক্রমণে সার্বিয়ার রক্ষণ কাঁপিয়ে তোলে ব্রাজিল। ম্যাচের ৮১ মিনিটে কাসিমিরো বক্সের বাইরে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে। কিন্তু আবারও সেই শট লাগে ক্রস বারে। রদ্রিগো একটা শট নিলে সার্বিয়ান গোলরক্ষক তা রুখে দেন। ইনজুরি সময়ে রদ্রিগোর আরও একটি শট নেন, যা পোস্টের সামান্য ওপর দিয়ে চলে যায়। ম্যাচের শেষ ৪৫ মিনিটের ফুটবল জানিয়ে দিয়েছিল, মাঠে ব্রাজিল খেলছে।
নেইমারের চোট: ম্যাচের ৮০ মিনিটে নেইমার গোড়ালিতে চোট পেয়ে খোঁড়াতে খোঁড়াতে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন।
Leave a Reply