CAA: শেষমেশ কার্যকর সিএএ, কী এই আইন? কেনই বা বিতর্ক?

ইউ এন লাইভ নিউজ ডেস্ক: প্রতীক্ষার অবসান। লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগে, সোমবার (১১ মার্চ) দেশ জুড়ে সিএএ অর্থাৎ নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইন কার্যকর করল মোদি সরকার। লোকসভা নির্বাচনের আগেই সিএএ কার্যকর করা হবে বলে আগেই জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এদিন, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সরকারি ওয়েবসাইটে সিএএ কার্যকর করার বিজ্ঞপ্তি জারি করা হল। মাত্র ৬ পয়েন্টে সিএএ কী, কেন এই আইন প্রবর্তন করা হয়েছে, এই আইন সংক্রান্ত ভ্রান্ত ধারণা, কেন আইনটি কার্যকর করতে দেরি হল – সমস্ত বিষয় স্পষ্টভাবে জানিয়েছে সরকার।

অমিত শাহর মন্ত্রকের জারি করা বিবৃতিতে ঠিক কী বলা হয়েছে? জেনে নিন –

পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তানে ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার হয়ে ভারতে আসা অ-মুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দিতেই আনা হয় সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ)। ২০১৯ সালে নাগরুিকত্ব সংশোধনী বিল পাশ হলেও বিধি নিয়ে জট থাকায় তা এতদিন বলবৎ করা যায়নি। সোম সন্ধ্যায় গেজেট নোটিফিকেশন জারি করে অবশেষে তা কার্যকরী করেছে কেন্দ্রের মোদি সরকার। লোকসভা ভোটের আবহে কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের মতুয়া গড়ে আনন্দোৎসবের পাশাপাশি অসমের আকাশে প্রতিবাদের মেঘ গাঢ় হচ্ছে।

এই সিএএ কাদের জন্য কার্যকর হবে? ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের পর পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় কারণে বিতাড়িত হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, পার্সি এবং খ্রিস্টান শরণার্থীদের জন্য এই নাগরকিত্ব সংশোধনী আইন। ওই তিন দেশ বা অন্য কোনও দেশ থেকে আসা মুসলিম-সহ অন্য কোনও বিদেশি শরণার্থীদের জন্য সিএএ লাগু হবে না।

এই দেশগুলি থেকে এদেশে এসে অবৈধ ভাবে বসবাস করা মুসলিমদের কি বিতাড়িত করা হবে? একেবারেই কিন্তু না। কোনও নাগরিকের বিতাড়নের সঙ্গে সিএএ-র কোনও সম্পর্ক নেই। ১৯৪৬-এর বিদেশি আইন ও ১৯২০-র পাসপোর্ট আইন অনুযায়ী এই সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে থাকে। বিদেশি নাগরিকদের ভারতে প্রবেশ এবং প্রস্থান সম্পর্কিত সিদ্ধান্ত এই দুই আইনের ভিত্তিতেই নেওয়া হয়। কোনও ব্যক্তির ধর্ম বা দেশের ভিত্তিতে নয়। ভারতে অবৈধভাবে বসবাসকারী যে কোনও বিদেশির জন্যই এই দুই আইন প্রযোজ্য। যা এবার থেকে বহিরাগত মুসলিমদের জন্যও।