নিউজ ডেস্ক : জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে তৃণমূলের পার্টি অফিস তৈরি করা নিয়ে শুরু হয় জোর বিতর্ক। সোমবার জোড়াসাঁকো ক্যাম্পাসের পার্টি অফিস ভাঙার নির্দেশ হাইকোর্টের। হেরিটেজ ভবনের ঘর ভেঙে তৈরি হচ্ছে তৃণমূল অফিস। অভিযোগ শুনে অবাক প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।
হাইকোর্টের নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই পার্টি অফিস ভাঙার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । অভিযোগ ছিল,জোড়াসাঁকোর গ্রেড-১ অংশে অনেকদিন ধরে ফাঁকা পরে থাকা দুটি ঘর ভেঙে,সেখানেই তৈরি হচ্ছিল তৃণমূলের ‘শিক্ষা বন্ধু সমিতি’র অফিস। এই কারণেই জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে।
অভযোগকারীরা বলেন, এই স্থানের সঙ্গে বাঙালির আবেগ জড়িয়ে আছে। সেখানে কীভাবে রাজনীতির ঢুকতে পারে ? তাদের দাবি,যে ঘরে রবীন্দ্রনাথ ও বঙ্কিমচন্দ্র প্রথম বার সাক্ষাৎ করেছিলেন, সেখানে রাজ্যের শাসকদল ‘শিক্ষাবন্ধু সমিতি’ নামে একটি সংগঠনের কার্যালয় তৈরি করেছে। এমনকি রবীন্দ্রনাথের ছবি খুলে লাগান হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেকের ছবি।
অন্যদিকে, হেরিটেজ ভবনের মধ্যে কীভাবে দলীয় কার্যালয় তৈরি হয়,প্রশ্ন তোলে হাইকোর্ট। ঠাকুর বাড়িতে পার্টি অফিস শুনে বিস্ময় প্রকাশ করেন ডিভিশনের বিচারপতিও। প্রধান বিচারপতি বলেন, “যদি হেরিজেট ভবন নাও হয়,তাও যেখানে সেখানে কি পার্টি অফিস তৈরি করা যায়?”
আরও পড়ুন : শীতের পথে বাধা নিম্নচাপ
আসলে এই মামলার শুনানি ছিল ৭ নভেম্বর। তখন এই বিষয় স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছিল হাইকোর্টের তরফ থেকে। কিন্তু সোমবার শেষমেশ হেরিটেজের পার্টি অফিস ভাঙার আদেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। নির্দেশে দেওয়া হয়েছে, আগামী ৩ সপ্তাহের মধ্যে অফিস ভেঙে ঘর দুটিকে পুরনো অবস্থায় আবারও ফিরিয়ে দিতে হবে। এই দায়িত্ব থাকবে হেরিটেজ বিভাগের ওপর। পুনরুদ্ধারের পর হেরিটেজ ভবন বলে আলাদা করে চিহ্নিত করতে হবে ওই জায়গাকে। এই মামলার,পরের শুনানি হবে ১৯ ডিসেম্বর।
আরও পড়ুন : পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বড় ধাক্কা তৃণমূলের, হাতছাড়া ঝালদা পুরসভা
Leave a Reply