Category: ভ্রমণ

  • ঘুরে আসুন কালনার ১০৮ শিব মন্দির

    ঘুরে আসুন কালনার ১০৮ শিব মন্দির

    পশ্চিমবঙ্গের অনেক জায়গাই সুপ্রাচীন মন্দির স্থাপত্যের কারণে বিখ্যাত। ইতিহাসে এক এক রাজা বা এক এক শাসক তাঁর রাজত্বকালে নিজের কীর্তি স্থাপনের জন্য সমগ্র বাংলা জুড়েই বিভিন্ন স্থানে মন্দির, মসজিদ নির্মাণ করেছেন আর প্রাচীন বাংলার টেরাকোটার মন্দিরের ঐতিহ্য-খ্যাতি ভারত বিখ্যাত। তেমনই পশ্চিমবঙ্গের একটি ঐতিহ্যবাহী মন্দির স্থাপত্যের নিদর্শন কালনার ১০৮ শিবমন্দির। প্রায় দুশো বছর আগে বিশেষ জ্যামিতিক…

  • বিকেলের আরতি শেষ হলেই সকলকে ৬০০ সিঁড়ি পেরিয়ে নেমে আসতে হয়

    বিকেলের আরতি শেষ হলেই সকলকে ৬০০ সিঁড়ি পেরিয়ে নেমে আসতে হয়

    গুজরাটের আমেদাবাদ থেকে রাজকোট যাবার পথে ছোট শহর চোটিলা। রাজকোট থেকে প্রায় ৪৫ কিলোমিটার দূরে এবং আমেদাবাদ থেকে প্রায় ১৭০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এখানে চোটিলা পাহাড়টি প্রায় ১২০০ ফুট উঁচু এবং এই পাহাড়ের মাথায় অবস্থিত মা চামুণ্ডেশ্বরী মন্দিরটি এই অঞ্চলের বিখ্যাত মন্দির। প্রচলিত জনশ্রুতি অনুসারে এখানেরই এক বাসিন্দা স্বপ্ন দেখেছিল যে দেবী বলছেন চোটিলা পাহাড়ে…

  • দুই বাংলার স্থাপত্যের নিদর্শনের সাক্ষী জোড়বাংলা মন্দির রয়েছে মল্ল রাজাদের রাজধানী বিষ্ণুপুরে

    দুই বাংলার স্থাপত্যের নিদর্শনের সাক্ষী জোড়বাংলা মন্দির রয়েছে মল্ল রাজাদের রাজধানী বিষ্ণুপুরে

    রাঢ় শব্দটি এসেছিল জৈন কাব্য গ্রন্থ আচারঙ্গ থেকে। যেখানে বলা রাঢ় বঙ্গ শ্রেষ্ঠ। প্রাচীনকালে রাঢ় অঞ্চল ছিল শিক্ষা, দীক্ষা, স্থাপত্য ও ভাস্কর্যে সেরা। বাঁকুড়া নামটি এসেছে বীর হামবীরের পুত্র যোদ্ধা বাঁকুড়ার নাম অনুসারে। বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর ছিল শিল্প ও স্থাপত্যের অন্যতম কেন্দ্র। বিষ্ণুপুর ছিল মল্ল রাজাদের রাজধানী। বিষ্ণুপুরের স্থাপত্যের অন্যতম নিদর্শন হলো এই জোড়বাংলা মন্দির। দুটো…

  • প্রথম বিশ্বযুদ্ধের ইতিহাসের সাক্ষী চিমনি গ্রাম হতেই পারে আপনার উইকএন্ড ডেস্টিনেশন

    প্রথম বিশ্বযুদ্ধের ইতিহাসের সাক্ষী চিমনি গ্রাম হতেই পারে আপনার উইকএন্ড ডেস্টিনেশন

    বেশ কয়েকদিন ছুটি পেয়েছেন! ভাবছেন কোথায় যাওয়া যায়! তাহলে আপনার ছুটি কাটানোর পারফেক্ট ডেস্টিনেশন হতে পারে দার্জিলিং, কালিম্পং, কার্শিয়াঙ। কার্শিয়াঙের বাগোরা অন্যদের থেকে বেশ আলাদা। বাগোরার পাশেই রয়েছে চিমনি গ্রাম। এখানে প্রকৃতি ও ইতিহাস একসঙ্গে হাতছানি দেয়। হিমালয়ের কোলে লুকানো এক গ্রাম চিমনি। কার্শিয়াং থেকে মাত্র ১৭ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত বাগোরা। দিলারাম হয়ে যেতে হয়…

  • মূর্তি নয় পাথরকেই এখানে দেবীরূপে পুজো করা হয়, যেখানে পড়েছিল সতীর গলার হাড়

    মূর্তি নয় পাথরকেই এখানে দেবীরূপে পুজো করা হয়, যেখানে পড়েছিল সতীর গলার হাড়

    বীরভূম জেলার সাঁইথিয়া  শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত নন্দিকেশ্বরী মন্দির। মন্দির থেকে মাত্র দেড় কিলোমিটার দূরে ময়ূরাক্ষী নদী আর ১ কিলোমিটারের মধ্যে সাঁইথিয়া জাংশন স্টেশন। সাঁইথিয়া জায়গাটি আগে নন্দিপুর নামে পরিচিত ছিল। প্রচলিত জনশ্রুতি অনুসারে দেবী নন্দিকেশ্বরীর নামেই এই শহরের নাম হয়েছিল নন্দিপুর। বলা হয় এখানে আগে জঙ্গলে পূর্ণ ছিল এবং পাশে ছিল মহাশ্মশান। তার পাশ দিয়ে…

  • ২০০ বছরের পুরনো এই মন্দিরে এলে খালি হাতে ফেরেন না কেউই

    ২০০ বছরের পুরনো এই মন্দিরে এলে খালি হাতে ফেরেন না কেউই

    কলকাতা পর্যটনের মূল আকর্ষণ হল কালীঘাটের কালী মন্দির। এখানে সতীর বাঁ-পায়ের সামনের অংশ পড়েছিল। কিংবদন্তী বলে মায়ের এক পরম ভক্ত নদীর ধারে এক অদ্ভুত আলো দেখতে পান। এগিয়ে গিয়ে দেখেন একটি পায়ের প্রস্তরীভূত অংশ। সেইখানেই মন্দিরের সূচনা হয়। কালীঘাটের বর্তমান মন্দিরটি ২০০ বছরেরও বেশি পুরোনো। হাটখোলার দত্ত পরিবারের কালীপ্রসাদ দত্ত এবং বড়িশার সাবর্ণ রায়চোধুরী পরিবারের…

  • তমলুকের যে মন্দিরে পুজো দিয়ে হিন্দু-মুসলিমরা শুভ কাজ শুরু করেন

    তমলুকের যে মন্দিরে পুজো দিয়ে হিন্দু-মুসলিমরা শুভ কাজ শুরু করেন

    বর্গভীমা মন্দির তমলুক তথা সমগ্র বাংলার মানুষের কাছে জনপ্রিয় একটি তীর্থস্থান। তমলুক শহরে যে কোন বাড়িতে কোন অনুষ্ঠানের আগে বর্গভীমা মন্দিরে পূজা দিয়ে তবেই কাজ শুরু হয়। এই মন্দির একটি সতীপীঠ, যেখানে সতীর বাঁ পায়ের গোড়ালি পড়েছিল বলে মানুষের বিশ্বাস। অন্নদামঙ্গল কাব্যেও সে কথার উল্লেখ আছে। জনশ্রুতি অনুসারে কালাপাহাড় অনেক হিন্দু মন্দির ধ্বংস করলেও বর্গভীমা…

  • কলকাতা থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে এখানেই পড়েছিল সতীর বাঁহাতের কনুই

    কলকাতা থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে এখানেই পড়েছিল সতীর বাঁহাতের কনুই

    উজানি সতীপীঠ বা সতীপীঠ মঙ্গলচণ্ডী পূর্ব বর্ধমান জেলার কোগ্রামে অবস্থিত। পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে এখানে সতীর বাঁ হাতের কনুই পড়েছিল। এখানে অধিষ্ঠিত দেবী মঙ্গলচন্ডী এবং ভৈরব হলেন কপিলাম্বর বা  কপিলেশ্বর। পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে সতী নিজের বাপের বাড়িতে বাবার কাছে স্বামীর অপমান সহ্য করতে না পেরে সেখানেই দেহত্যাগ করেছিলেন। সতীর দেহত্যাগের খবর মহাদেবের কাছে পৌঁছতেই মহাদেব সেখানে…

  • যেখানে রাজা রাজবল্লভকে ডুবিয়ে মেরেছিলেন মীরকাশিম সেখানেই খুলে পড়েছিল সতীর মাথার মুকুট

    যেখানে রাজা রাজবল্লভকে ডুবিয়ে মেরেছিলেন মীরকাশিম সেখানেই খুলে পড়েছিল সতীর মাথার মুকুট

    মুর্শিদাবাদের অন্যতম প্রাচীন মন্দির কিরীটেশ্বরী। এখানে সতীর মাথার মুকুটের অংশ পড়েছিল বলে মানুষের বিশ্বাস। তবে এটা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। মন্দিরের পুজারিদের মতে কিরীট হচ্ছে সতীর কপালের ওপরে মাথার নিচের সংযোগস্থল। কিন্তু শিবচরিতগ্রন্থে কিরীট অর্থে সতীর মাথার মুকুটের কথা বলা হয়েছে। মুকুট পড়ার কারণে দেবীকে মুকুটেশ্বরী বলেও ডাকা হয়। শোনা যায় মীরকাশিম যখন রাজা রাজবল্লভকে ডুবিয়ে…

  • কলকাতার কাছেই রয়েছে সোনার অন্নপূর্ণা মন্দির, জানেন কোথায়?

    কলকাতার কাছেই রয়েছে সোনার অন্নপূর্ণা মন্দির, জানেন কোথায়?

    দক্ষিণেশ্বর মন্দির থেকে মাত্র পনেরো কিলোমিটারের মধ্যে হুবহু দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের মত দেখতে একটি মন্দির রয়েছে। সোনার অন্নপূর্ণা মন্দির। দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা রানী রাসমণির ছোট মেয়ে জগদম্বা এই মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা। ১৮৪৭ সালে কলকাতার জানবাজারের রানী রাসমণিদেবী কাশীতে অন্নপূর্ণা দর্শনের জন্য যাত্রা করছিলেন। তীর্থযাত্রার ঠিক আগের দিন রাতে রানী দেবী কালীর স্বপ্নাদেশ পান যে তাঁর কাশী যাওয়ার…