Category: ভ্রমণ
-
ইতিহাসের পথ ধরে বর্তমানে মিঞাপুর থেকে মায়াপুর
বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের যে কয়টি পীঠস্থান পশ্চিমবঙ্গে রয়েছে তার মধ্যে মায়াপুর অন্যতম প্রধান। নবদ্বীপের মতো প্রাচীনত্বের গন্ধ না থাকলেও বেশ সাজানো গোছানো স্বচ্ছ-সুন্দর এই মায়াপুরের প্রশান্তিময় পরিবেশ কিংবা ইস্কন মন্দির প্রাঙ্গনের সৌন্দর্য চোখের শান্তি। নদীয়া জেলার ছোট্ট এক জনপদ মায়াপুর ভাগীরথী নদীর পূর্ব দিকে অবস্থিত। জলঙ্গী নদী এসে মিশেছে এই ভাগীরথী নদীতে। এখানে তাই জলের রঙও…
-
যেখানে পড়েছিল দেবীর তৃতীয় নয়ন, ঘুরে আসতে পারেন দেবতাদের সেই গ্রামে
পুরাণে আছে, সত্যযুগে দেবী লক্ষ্মী ও নারায়ণের বিবাহে দেবরাজ ইন্দ্র সুব্রত মুনিকে অপমান করেন। অপমানে ক্রুদ্ধ ঋষি সুব্রতর শরীর আটটি বাঁকে বেঁকে যায় এবং তিনি তখন থেকেই ‘অষ্টাবক্র মুনি’ নামে পরিচিত হন। দীর্ঘ সময় ধরে একযোগে শিবের তপস্যা করে অষ্টাবক্র মুনি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসেন। ‘বক্রেশ্বর’ নামের মধ্যে রয়েছে ‘বক্র’ অর্থাৎ বাঁকা আর ‘ঈশ্বর’। বহুকাল…
-
ধর্মমঙ্গল কাব্যে যে শিব মন্দিরের উল্লেখ আছে সেই মন্দির রয়েছে হুগলীতে
পশ্চিমবঙ্গের হুগলী জেলায় অবস্থিত তারকেশ্বর শহরটি কলকাতা থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। ১৭২৯ সালে রাজা বিষ্ণুদাসের ভাই ভারমল্লা এই মন্দির স্থাপন করেছিলেন। সহোদর গোস্বামীর ‘ধর্মমঙ্গল’ কাব্যে, কবিচন্দ্র রামকৃষ্ণ দাসের ‘শিবায়ণ’ কাব্যে এই মন্দিরের উল্লেখ পাওয়া যায়। এই মন্দির হিন্দুদের কাছে অন্যতম পবিত্র তীর্থস্থান বলে পরিচিত। মন্দিরটি আটচালা স্থাপত্যরীতিতে তৈরি। মন্দিরের শিবলিঙ্গকে স্বয়ম্ভুবলা হয়। বিশ্বাস…
-
জলপাইগুড়ি গেলে একেবারেই যা মিস করা যাবে না, জানেন কি?
পাহাড়, অরণ্য এবং নদীর সৌন্দর্যকে এক সঙ্গে উপভোগ করতে হলে আপনাকে যেতে হবে জলপাইগুড়ি। সিকিম-দার্জিলিং হিমালয় এবং গাঙ্গেয় সমভূমির মধ্যে একটি বিস্তৃত ভূমি। ১৮৬৯ সালে ব্রিটিশ শাসনাধীন ভারতে এই জেলাটি প্রতিষ্ঠিত হয়। বহু ছোট ও খরস্রতা নদী গিরিখাত থেকে বেরিয়ে আসার পর এখানে এসে মিলিত হয়। এখানে চোখে পড়বে বনের বিস্তীর্ণ অংশ, সীমাহীন সবুজ চা বাগান…
-
আধ্যাত্মিকতা এবং ভ্রমণের নেশা যেখানে মিলে মিশে এক, জানেন কোথায়?
আধ্যাত্মিকতা আর ভ্রমণের নেশা এই দুইয়ের একটি চমৎকার মেলবন্ধন ঘটতে পারে তারাপীঠে। তারাপীঠ হল শক্তিপীঠগুলির অন্যতম একটি। এখানে সতীর তৃতীয় নয়ন পড়েছিল বলে মনে করা হয়। বীরভূম জেলার সাহাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের একটি ছোট গ্রাম হল তারাপীঠ। দ্বারকা নদীর তীরে অবস্থিত। এই মন্দিরের প্রতিষ্ঠা নিয়ে বিভিন্ন জনশ্রুতি প্রচলিত আছে। প্রথম জনশ্রুতি অনুসারে সতী বাপের বাড়িতে বাবার…
-
সীতার তেষ্টা মেটাতে যে পাহাড়ের দিকে তীর ছুঁড়েছিলেন স্বয়ং শ্রীরামচন্দ্র, ঘুরে আসতে পারেন সেখানে আপনিও
ছোটনাগপুর মালভূমির অন্তর্গত পুরুলিয়ার অন্যতম প্রধান পর্যটনকেন্দ্র হলো এই অযোধ্যা পাহাড়। এটি পুরুলিয়া জেলার সবচেয়ে বড় পাহাড়শ্রেণী। এটি দলমা পাহাড়ের একটি অংশ ও পূর্বঘাট পর্বতমালার একটি সম্প্রসারিত অংশ। অযোধ্যা পাহাড়ের উচ্চতম শৃঙ্গটি হল গোরগাবুরু। ৮৫৫ মিটার উচ্চতার এই গোরগাবুরু সারা দক্ষিণবঙ্গের মধ্যেও সবচেয়ে উঁচু শৃঙ্গ। অযোধ্যা পাহাড়ের গড় উচ্চতা প্রায় ২০০০ ফিট আর পাহাড়ের…
-
পাহাড়-টিলা আর শাল, মহুয়ার অরণ্যে ঘেরা শিমুলতলা
বিহারের একটি ছোট্ট গ্রাম শিমুলতলা। কলকাতা থেকে দূরত্ব প্রায় ৩৬৫ কিলোমিটার। শহরের কোলাহল থেকে থেকে নিভৃতে সময় কাটানোর এর চেয়ে ভাল জায়গা আর হয় না। আগে একানে সারি সারি শিমুল গাছ ছিল। এখন অবশ্য সেই শিমুলগাছের সারি আর নেই। তবে শিমুলতলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে বিভোর হতে হয়। ছোটখাটো অজস্র জঙ্গল, ইউক্যালিপটাসের সারি, ছোট ছোট পাহাড় আর…
-
একদিনের ছোট্ট ট্রিপে ঘুরে আসতে পারেন ত্রিবেণী
শিয়ালদহ থেকে ৪৮ কিমি দূরে কল্যাণী। কল্যাণী থেকে ম্যাজিক গাড়িতে কিছুটা গেলেই ত্রিবেণী। এখানেই রয়েছে তিন ধর্মের প্রধান স্থাপত্যগুলি। প্রকৃত অর্থেই যাকে বলে ত্রিবেণী। এখানএই রয়েছে, জাফর খান গাজীর দরগা, হংসেশ্বরী মন্দির, অনন্ত বাসুদেব মন্দির, বিখ্যাত ব্যান্ডেল চার্চ, ইমামবাড়া। ত্রিবেণীতে দেখার মত হল বেণীমাধব মন্দির। মকরসংক্রান্তিতে খুব ভিড় হয়। কথিত আছে এখানেই কোনও এক কালে…
-
এখানে এসেছিলেন স্বয়ং শ্রী চৈতন্যদেব, ইতিহাস প্রসিদ্ধ প্রাচীন শহর ঘুরে দেখতে পারেন আপনিও
বর্ধমান জেলার উত্তর-পূর্বে কাটোয়ার দাঁইহাট রেলস্টেশনের পাশের গ্রাম, নলহাটি। সারা গ্রাম জুড়ে গাছগাছালির। আকাশের দিকে মাথা তুলে দাঁড়িয়ে অগুনতি নারকেল আর তাল গাছের সারি। রয়েছে বড় ছোট পুকুর। নলহাটির পাশেই জগদানন্দপুর। সেখানে রয়েছে প্রাচীন মন্দির। প্রবেশ পথের দরজার ওপরে খোদাই করা আছে। তবে মন্দিরের পুরোহিতরা দাবি করেন মন্দিরটি আরও প্রাচীন। দাঁইহাটের বাগটিকরা অঞ্চলে আরও একটি…