CHC on Recruitment Corruption Case: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সাড়া নেই রাজ্যের মুখ্যসচিবের! ক্ষুব্ধ বিচারপতি

ইউ এন লাইভ নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলার বিচারপ্রক্রিয়া শুরু করা নিয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিবের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী। গত ২২ মার্চ মুখ্যসচিব বি পি গোপালিকাকে নোটিস জারি করে কলকাতা হাইকোর্ট। ৩ এপ্রিলের মধ্যে রিপোর্ট তলব করা হয়। আদালত রাজ্যের কাছে জানতে চায়, নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হওয়া সরকারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে বিচারপ্রক্রিয়া শুরু করার জন্য সিবিআই-এর তরফ থেকে রাজ্যের কাছে যে অনুমোদন চাওয়া হয়েছিল, সেই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কতদিনের মধ্যে নেওয়া সম্ভব? সে বিষয়ে একটি রিপোর্ট তলব করা হয়। ২৬ মার্চ ইডি-র তরফ থেকে আদালতের নির্দেশ সম্পর্কে মুখ্যসচিবকে অবগত করা হয়। কিন্তু বুধবার শুনানির সময় পর্যন্ত কোনও রিপোর্ট পেশ করা হয়নি। আর এতেই ক্ষুব্ধ হন বিচারপতি।

আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে রাজ্যের মুখ্যসচিব যদি জবাব না দেয় তাহলে আদালত তাঁকে সশরীরে ডাকতে বাধ্য হবে জানালেন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী ডিভিশন বেঞ্চ। সিবিআইযের অভিযোগ, এ ব্যাপারে রাজ্য কোনও সহযোগিতা করছে না। এতেই ক্ষুব্ধ বিচারপতি এদিন দুুপুরে সরকারি আইনজীবীর কাছে কৈফিয়ত তলব করেছিলেন। এও জানিয়েছিলেন, আইনজীবীর জবাবে সন্তুষ্ট না হলে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে ডেকে পাঠাবেন।

সরকারি আইনজীবী অনির্বাণ রায় আদালতকে জানান, “মুখ্যসচিব ভোটের কাজে ব্যস্ত রয়েছেন। নির্বাচন ঘোষণা হয়ে যাওয়ার জন্য দেরি হচ্ছে।”

এরপরই বিচারপতি পাল্টা প্রশ্ন তোলেন, “২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে নোটিস দেওয়া হয়েছিল। দেড় বছর হয়ে গেল, একটা অনুমতি দেওয়ার সময় পেলেন না?
এখন নির্বাচনের অজুহাত দিচ্ছেন?”

রিপোর্ট পেশ না হওয়া নিয়ে বিচারপতি বাগচীর মন্তব্য, ‘কেন মুখ্যসচিব উত্তর দেননি? আদালত আশা করেছিল, মুখ্যসচিব রিপোর্ট দেবেন। তিনি কী করেছেন বা কী করেননি তা নিয়ে তো জানাতে পারতেন। এটা খুবই বেদনাদায়ক। কতদিনের মধ্যে অনুমতি দিতে পারবেন, তা জানতে চাওয়া হয়েছিল। আদালত মুখ্যসচিবকে নির্দেশ দিয়েছে, তার পরেও।’