Chhat Puja: বন্ধ রবীন্দ্র-সুভাষ সরোবর, ছটপুজোয় বঙ্গবাসীর জন্য একাধিক ব্যবস্থা পুরনিগমের

নিউজ ডেস্ক: ২০১৮ সাল। ছটপুজো কেন্দ্র করে মারাত্মক ছটফট করেছিল বঙ্গবাসী। প্রশাসনের কড়া নির্দেশ অমান্য করে ভোরের অন্ধকারে পাঁচিল টপকে রবীন্দ্র সরোবরে ঢুকে পড়েছিলেন ভক্তরা। কাতারে-কাতারে লোকের এমন ছটফটানি প্রাণ কেড়েছিল লেক পরিবেশে বাস করা একাধিক প্রাণীর। সংরক্ষিত জলে ছড়িয়েছিল দূষণ। সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি এড়াতে তার পরের বছর থেকেই শক্ত হাতে বাঁধন দিচ্ছে প্রশাসন। এবারেও হচ্ছে না অন্যথা। ছটপুজো উপলক্ষে দু’দিন বন্ধ থাকছে রবীন্দ্র সরোবর এবং সুভাষ সরোবর প্রাঙ্গন, নির্দেশে জাতীয় পরিবেশ আদালতের (ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুনাল)। সাধারণের প্রবেশের ক্ষেত্রে থাকছে নিষেধাজ্ঞা। রবিবার সারাদিন এবং সোমবার বিকেল চারটে পর্যন্ত রবীন্দ্র সরোবরে কেউ প্রবেশ করতে পারবেন না। ছট পুজোর সঙ্গে যুক্তদের জন্য ৪৮টি ঘাটে ছটপুজোর আয়োজনের ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন।

কী প্রস্তুতি প্রশাসনের ?

রবীন্দ্র সরোবরের ১২টি গেটে বাঁশের ব্যারিকেড বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। তার পাশাপাশি, গেটগুলিতে হোডিং বোর্ড ও ব্যানার লাগানো হয়েছে। যেখানে লেখা রয়েছে কোন কোন ঘাটে ছটপুজোর আয়োজন করতে পারবেন মানুষ। পাশাপাশি সুভাষ সরোবরের আশপাশে টিনের অস্থায়ী শেড দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে।

কী বলছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম ?

ছটপুজো প্রসঙ্গে ফিরহাদ হাকিম বলেন,“আর কেউ রবীন্দ্র সরোবরে যান না। সবাই এখন জানেন। পুরনিগম থেকে কৃত্রিম জলাশয় এবং ঘাট তৈরি করা হয়েছে পুকুরে। ভক্তদের জন্য। সেখানে চেঞ্জিং রুম থেকে শুরু করে সমস্তরকম ব্যবস্থা করা হয়েছে। দু’বছর ধরে কেউ আর রবীন্দ্র সরোবর, সুভাষ সরোবরে যায় না। কৃত্রিম জলাশয় পুরনিগম এবং কেএমডিএ করছে। সেখানেই ছট পুজো করেন সবাই।”

কী পদক্ষেপ দমদম পুরসভার ?

ছটপুজো প্রসঙ্গে দমদম পুরসভা জানিয়েছে, তাঁদের তরফে ছটপুজোর সব রকমের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা ইতিমধ্যেই নেওয়া হয়েছে। জলাশয় দ্রুত সাফাই করার ব্যবস্থার পাশাপাশি জলাশয়ের ধারে ডাস্টবিন থেকে শুরু করে সব ধরণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বসানো হয়েছে মেডিক্যাল ক্যাম্পও। মোতায়েন থাকবে পর্যাপ্ত পুলিশ এবং পুরসভা কর্মীরা।

আরও পড়ুন: ২ নভেম্বর রাজ্যে সর্বদল বৈঠক, ঘোষণা নির্বাচন কমিশনের

আশা করা যাচ্ছে, এই পদক্ষেপের জেরে তাঁদের মধ্যে আর বিশেষ কোনও বিভ্রান্তি থাকবে না। কোনও অজ্ঞাত ভক্ত ভুল করে রবীন্দ্র সরোবরে চলে এলেও তিনি তালিকা দেখে নিয়ে বিকল্প জলাশয়ে চলে যেতে পারবেন। কেউ যাতে ছটপুজোর সময় সরোবরের জলাশয়ে নামতে না পারেন সেকারণে কড়া পুলিশি পাহারা থাকছে সরোবরের প্রত্যেকটি গেটে।

আরও পড়ুন: বারবেলার ডার্বিতে ফুটছে গোটা শহর, আইএসএলের প্রথম ডার্বির শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি তুঙ্গে দুই শিবিরের