চিন হিংসুটে দৈত্য, আতঙ্ক থেকেই ‘হামলা’, মত প্রাক্তন সেনাকর্তার

নিউজ ডেস্ক : ফের ভারতীয় সীমান্তে কুনজর লাল ফৌজের। ২০২০ সালের গালওয়ান সংঘর্ষের স্মৃতি উসকে দিয়ে চলতি মাসে অরুনাচল প্রদেশ লাগোয়া সীমান্তে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ওপর আক্রমন করেছে চিনা সেনারা। বিগত কয়েক বছরে এই ধরনের বেশ কয়েকবার হামলা চালিয়েছে ড্রাগন দেশের সেনা। কিন্তু বারবার কেন এই হামলা? কোন উদ্দেশ্যে এই হামলা? তবে কি যুদ্ধ শুরুর ইঙ্গিত? যদিও আন্তর্জাতিক মহলে জায়গা হারানোর ভয়েই চিনের এই পদক্ষেপ বলে, UNLive-কে জানিয়েছেন ভারতীয় সেনার অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল উৎপল ভট্টাচার্য।

বর্তমানে প্রশ্ন উঠেছে, অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াংয়ে ভারতীয় সেনার সঙ্গে পি এল এ-র সংঘর্ষের কারণ কী? কেন বারবার আন্তর্জাতিক সীমানায় চিন এই ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে? এই প্রসঙ্গে উৎপল ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক মহলে ভারতের অবস্থান ক্রমশই দৃঢ় হচ্ছে। রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধেও বারবার ভারতের কাছে সহযোগিতার আবেদন করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, জি২০ শীর্ষ সম্মেলনেও এখন সভাপতিত্ব করছে ভারত। এই পরিস্থিতিতে ভারতকে আঘাত করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে প্রতিবেশী দেশ চিন।

এই মুহূর্তে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের কি স্ট্র্যাটেজি হতে চলেছে? কিভাবে চিনের আগ্রাসন আটকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে? এই প্রসঙ্গে প্রাক্তন সেনাকর্তা জানিয়েছেন, ‘সীমান্ত এলাকায় অত্যাধুনিক প্রযুক্তি স্থাপন করা হচ্ছে। নতুন রাস্তাও তৈরি করা হচ্ছে সীমান্ত এলাকায়। যাতে সহজেই প্রতিরোধ করা যায় চিনা সেনাদের।’ রণকৌশল দেখে মনে হতেই পারে তবে কি যুদ্ধ শুরুর প্রহর গুনছে দুই দেশ? যদিও সেই আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল।

তিনি জানিয়েছেন, যুদ্ধ শুরু করার মত ভুল চিনা বাহিনী করবে না। আর ভারতের পক্ষ থেকে কখনও প্রথমে আক্রমণ করা হবে না। তাই যুদ্ধ শুরুর কোনোও সম্ভাবনা নেই। অস্ত্রশস্ত্রের দিক দিয়ে চিন নিঃসন্দেহে বেশি শক্তিশালী, তবে ভারতের শক্তি সম্পর্কে তাদের সমীহ রয়েছে। প্রায় প্রতিবারই ভারতীয় সেনাবাহিনীর কাছে পর্যদুস্ত হয়েছে লাল ফৌজ। গালওয়ানের হাতাহাতি হোক বা তাওয়াংয়ের সংঘর্ষ, সবক্ষেত্রেই বেশি সংখ্যক সেনা জখম হয়েছে চিনের। সেই তুলনায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর আহত সদস্য সংখ্যা কম।

আরও পড়ুন : Amit Shah: “মোদি ক্ষমতায় থাকলে এক ইঞ্চি জমিও দখল করতে পারবে না কেউ”, বিস্ফোরক শাহ

যুদ্ধ মানেই অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র, কিন্তু সেসব বাদে বারবার কেন হাতাহাতি করা হচ্ছে চিনের পক্ষ থেকে? অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল জানিয়েছেন, দুদেশের মধ্যে এক সমঝোতা অনুযায়ী, সীমান্ত এলাকায় ভারত ও চিনের সেনাবাহিনীর একে অপরের বিরুদ্ধে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। তারপর থেকেই একাধিকবার চিনের সেনাবাহিনীকে আগ্নেয়াস্ত্রের বদলে লাঠি ও ধারালো বস্তুর ব্যবহার করতে দেখা গেছে। যদিও এই ঘটনা আন্তর্জাতিক মহলের কাছে বড়ই অদ্ভুত। যদি অরুণাচলে ড্রাগনের নিঃশ্বাস পড়েও, তাহলে উপযুক্ত জবাব দিতে প্রস্তুত ভারতীয় সেনাবাহিনী।

আরও পড়ুন : বিমান ধরতে যাচ্ছেন? জেনে নিন নতুন নিয়ম, নাহলে পড়তে পারেন বিপদে