নিউজ ডেস্ক- হালিশহর পুরসভার চেয়ারম্যান রাজু সাহানির গ্রেফতারির পরেই নয়া মোড় আসে সিবিআই অভিযানে। রবিবার সকাল থেকে প্রায় ৬টি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। বীজপুরের বিধায়ক সুবোধ অধিকারির বাড়িতেও যায় সিবিআই আধিকারিকরা। প্রায় ১০ ঘণ্টা খানাতল্লাশি করা হয়। পরে রাতেই সিজিও কম্প্লেক্সে তলব করা হয় সুবোধের দুই নিরাপত্তারক্ষী এবং আপ্তসহায়ককে। রাতেই তাদের নিয়ে আসা হয় সিবিআই দফতরে।
রবিবার সিবিআই হালিশহরে জেঠিয়াতে কমল অধিকারীর ফ্ল্যাটে, হালিশহর মঙ্গলদীপ, হালিশহর জেঠিয়াতে সুবোধ অধিকারীর পৈত্রিক বাড়িতে, জেঠিয়ায় অভিজিৎ শিকদারের বাড়িতে হানা দেয়। সুবোধের আপ্ত সহায়কসহ তিনজনকে সিজিও কম্প্লেক্সে নিয়ে আসা হয়। বেশ কিছুক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ চলে, তারপর একটি গাড়িতে করে নিরাপত্তারক্ষী ও গাড়ির চালক বেরিয়ে যান।
তবে আপ্তসহায় রবীন্দ্র সিংকে তাদের সঙ্গে বেরোতে দেখা যায়নি। সূত্রের খবর. রাত পর্যন্ত সিজিও কম্প্লেক্সে সুবোধ অধিকারির আপ্তসহায়ককে জেরা করা হয়।
তৃণমূল সূত্রের খবর, রাতেই সুবোধ অধিকারির সঙ্গে দেখা করেন রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। পার্থর অভিযোগ, রাজনৈতিক স্বার্থে কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে ব্যবহার করছে বিজেপি। তিনি আরও জানান, তৃণমূলের সকলে জেলে ঢুকলে, আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একা বাইরে থাকলে, তবু মানুষ দিদির সঙ্গেই থাকবে।
এদিন সুবোধ অধিকারি অভিযোগ করেন, কেউ তদন্ত করতেই পারে, কিন্তু যেহেতু তৃণমূল করি এবং বিধায়ক, তাই বিরক্ত করা হচ্ছে।
Leave a Reply