Calcutta High Court: সরগরম হাইকোর্ট চত্বর! মান্থার এজলাসের বাইরে তৃণমূলপন্থী আইনজীবীদের বিক্ষোভ

নিউজ ডেস্ক: হাইকোর্টে তুমুল বিক্ষোভ। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসের বাইরে আইনজীবীদের একাংশের সংঘাত শেষ পর্যন্ত গড়ালো হাতাহাতিতে। এজলাসের বাইরে গেট আটকে কোর্ট বয়কটের ডাক দেন তাঁরা। এর ফলে বিচারপতি মান্থার এজলাসে বিচার প্রক্রিয়া স্তব্ধ হয়ে যায়। এই সম্পূর্ণ ঘটনার তীব্র নিন্দা করে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব বলেন, “যারা এইভাবে বিচারপতির এজলাস বন্ধ করে রেখেছেন, কোর্ট তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে সামলাতে পারবেন তো?”

সোমবার সকাল থেকেই বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসের বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে তৃণমূলের আইনজীবীরা। বিচারপতির এজলাসের বাইরের গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। প্রায় ১ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে শুনানি বন্ধ থাকে বিচারপতি মান্থার এজলাসে। তৃণমূলপন্থী আইনজীবীদের সঙ্গে রীতিমতো হাতাহাতি করে এজলাসের দরজা খোলেন আইনজীবীদের অন্য একটি অংশ।

বিচারপতির এজলাসের বাইরে এ ধরনের বিক্ষোভ যথেষ্ঠ নজিরবিহীন বলে মনে করছে আইনজীবীদের একাংশ। প্রধান বিচারপতি দাবি করেন, এই ঘটনা যদি সুপ্রিম কোর্টের নজরে আসে, তবে তা হাইকোর্টের ক্ষেত্রে সমস্যাদায়ক। আইনজীবী শ্রীজীব চক্রবর্তী গোটা বিষয়টি প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, “একজন বিচারপতির এজলাসের বাইরে ধর্না দিয়ে প্ল্যাকার্ড তুলে বিক্ষোভ দেখানো কি কখনও সম্ভব?”

সম্পূর্ণ ঘটনাটি পর্যবেক্ষণ করার দায়িত্ব এজি (অ্যান্টর্নি জেনারেল) সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়কে দেন প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব। এজি বলেন, “আমি এখনই বিষয়টি শুনেছি। আমি দেখছি।” প্রধান বিচারপতির কথা শোনার পর তিনি বিক্ষোভরত আইনজীবীদের বলেন, “এটা ভালো হচ্ছে না। এগুলো করা উচিত নয়। অবস্থান বিক্ষোভ তুলে নিন। আমি অনুরোধ করছি।”

এদিক, তৃণমূলপন্থী বিক্ষোভকারী আইনজীবীদের একাংশ এজির বক্তব্যের পাল্টা জবাবে বলেন, “অনেক মামলায় সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। ফের মামলা খারিজ হয়ে গেলে তখন তার দায়িত্ব কে নেবে?” এদিন হাইকোর্টে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার ৩০৬টি মামলা শোনার কথা ছিল। তিনি মামলা না শুনেই উঠে যান।