ত্বক যতই নিষ্প্রাণ হোক না কেন দুধে এই তিনটি জিনিষ মিশিয়ে রাতে ত্বক পরিচর্যা করলে সকালে পাবেন একদম ঝকঝকে ত্বক
ডেস্ক : সামনেই পুজো আসছে, এখন থেকে একটু দেখভাল তো করতেই হবে। দাগযুক্ত ত্বক,ছোপ ছোপ দাগ,অসমান ত্বকের রঙ যাকে বলে আনইভেন স্কিনটোন এগুলো দূর করতে সবচেয়ে সহজ এবং সবচেয়ে সস্তা ঘরোয়া এই পদ্ধতিটি কিন্ত অনুসরণ করলে আপনারা খুবই উপকৃত হবেন।ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে আমরা কোথা কোথায় না যাই, কত খরচও করি অথচ একটু কষ্ট করে এই ঘরোয়া উপাদানে তৈরি টোটকা র ব্যবহারে যে কতটা উপকার আমরা পেতে পারি তা আমরা জানি না, তাই দেরী না করে দিদা ঠাকুমাদের গোপন রূপচর্চা র নুসকা টা একটু জেনেই নি।
এই উপকরণগুলো সবই ঘরেতে পাবেন এবং সবধরণের স্কিনটাইপের জন্য কিন্তু এই উপকরণগুলো উপযুক্ত।
১৬ থেকে ৮০ বছরের বয়সী ব্যক্তিও এটি ব্যবহার করতে পারবেন। কোন অনুষ্ঠান থাকলে খুব তাড়াতাড়ি ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে চাইলে রোজরাতে এই পদ্ধতিটি ফলো করতে পারেন। ত্বক উজ্জ্বল ও হাইড্রেট করে তুশতে এর জুরি মেলা ভার।
প্রথম উপকরণটি হল কাঁচা দুধ
দুধ একেবারে চিলড্ ঠান্ডা হলেই ভালো।জ্বাল দেওয়া দুধ হলে ঠাণ্ডা করে নিতে হবে ফ্রিজে রেখে। দুধ নিতে হবে ঠিক এক টেবিল চামচ ই। এর থেকে বেশি প্রয়োজন নেই। আর এর ঘনত্ব যেরকম আছে ওরকমই থাকবে। ঘন দুধের প্রয়োজন নেই এতে
দুধে ল্যাকটিক অ্যাসিড থাকে এটা ত্বকের ওপেন পোরস্ কে কমাতে সাহায্য করে। ব্ল্যাক হেডস্ ও হোয়াইট হেডস্ দূর করতেও সাহায্য করে। এছাড়া আনইভেন স্কিনটোন কে ঠিক করতেও উপকারী হল দুধ।
দ্বিতীয় উপকরণটি হল মধু
ঠিক এক চামচ মধু লাগবে। মধু হল আ্যন্টি অক্সিডেন্ট এর গুপ্তধন। প্রচুর ভিটামিন ও মিনারেলস্ এতে রয়েছে এছাড়া এতে আছে আ্যন্টি এজিং এর গুনাগুন। চেহারা য় রিংকেলস্ আসতে দেয় না আর ত্বকের উজ্জ্বলতা নিয়ে আসতে সাহায্য করে।
তৃতীয় উপকরণটি হল হলুদ
রান্নাঘরের হলুদ ই লাগবে, তবে বাজার থেকে হলুদের গাট কিনে এনে সেটা মিক্সিতে গুড়ো করে নিলে সবচেয়ে ভালো হয়। এই হলুদের শুদ্ধতা অনেক বেশী থাকে। হলুদ আন্টি ব্যকটেরিয়েল হয়। এক চিমটে হলুদ নেবেন। ঘরের পেষা হলুদে ত্বকে কখনও হলদেটে ছাপ ছাড়ে না।
চতুর্থ উপকরণটি হল ভিটিমিন ই ক্যাপসুল
ভিটামিন ই আপনার ত্বক কে পুষ্টি দেয়, খাদ্য দেয়। এতে অ্যান্টি এজিং গুণ থাকার কারণে ত্বক কে উজ্জ্বলতা ও দেয়। ইভিওন ৪০০- ভিটামিন ই ক্যপসুল একটা নিতে হবে। পিন দিয়ে ফুটো করে পুরো ভিতরের অয়েল টা নিয়ে নিতে হবে।
এবার চারটি উপকরণ একসাথে ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে।
এবার একটা ব্রাশের সাহায্যে বা পরিষ্কার তুলো দিয়ে পরিষ্কার ত্বকের ওপর ভালো করে লাগিয়ে নিতে হবে। মুখে ও গলায় ভালো করে লাগাতে হবে। যেরকম ঘনত্বের তৈরী হবে সেটাই লাগাতে হবে। পাতলা থাকলে ত্বকের ভিতরে প্রবেশ করতে সহজ হবে। লাগানো হয়ে গেলে কমকরে ১৫ মিনিট ও বেশী করে ৩০ থেকে ৩৫ মিনিটের জন্য ছেড়ে দিতে হবে। আধাঘন্টা হয়ে গেলে শুধু জল দিয়ে ভালো করে মুখ ও গলা ধুয়ে ফেলতে হবে। দুধ ক্লিনজিং এর কাজ করে দিয়েছে তাই সাবান লাগাতে হবে না। মধু ত্বকের উজ্জ্বলতা এনে দিয়েছে তাই কোন লোশন বা সেরাম লাগানোর প্রয়োজন নেই। হলুদ আ্যন্টি ব্যাকটেরিয়াল গুনাগুন ঢেলে দেওয়ায় কোন ব্রণ ফুস্কুড়ি হওয়ার সুযোগ থাকবে না আর ভিটামিন ই সম্পূর্ণ পুষ্টি দিয়ে দেওয়ায়
Leave a Reply