ইউ এন লাইভ নিউজ: ভোটপূজো শেষ হতে আর একদিন বাকি। আগামীকাল অর্থাৎ ৪ জুন চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণা। তার কয়েকদিন পরই জামাইদের পেটপুজোর উৎসব। এবার এই আবহে মিষ্টিতেও দেখা যাচ্ছে রাজনীতির রঙ। বিজেপি থেকে তৃণমূল, কংগ্রেস থেকে সিপিএম সব দলেরই প্রতীক দেওয়া সন্দেশ বিক্রি করছে পান্ডুয়ার এক মিষ্টান্ন প্রতিষ্ঠান। বুথ ফেরত সমীক্ষার ফল প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই ফলাফলের জল কোন দিকে গড়াতে চলেছে তা বুঝেই কিছু কিছু মিষ্টির সংখ্যা তুলনায় বাড়ানো হয়েছে।
আর মাত্র কয়েকটা দিন, তারপরই জামাইষষ্ঠী। এদিকে ষষ্ঠীর আগেই দোকানগুলিতে উপচে পড়ছে ভিড়। জামাইয়ের পাতে তার পছন্দের সেরা মিষ্টিটা রাখতে শ্বশুর-শাশুড়িরা চেষ্টা করেন আয়োজনে কোনো খামতি না রাখতে। তাই রকমারি সব মিষ্টি কেনার জন্য দু- একদিন আগে থেকে লাইন পড়ে। এবার কয়েকদিন আগে থেকেই মুখে হাসি ব্যবসায়ীদের। রাত পোহালেই ভোটের রেজাল্ট। প্রায় আড়াই মাসের ভোট উৎসব শেষে রেজাল্টের অপেক্ষায় প্রহর গুনছে গোটা দেশ। সব রাজনৈতিক দলের অন্দরেই কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে। পছন্দের দলের আবির কেনা থেকে সেই দলের প্রতীক দেওয়ার মিষ্টির চাহিদাও তুঙ্গে।
পাণ্ডুয়ার ওই দোকানে রাজনৈতিক প্রতীক দেওয়া মিষ্টি দেদার বিক্রি হচ্ছে। এদিকে ভোটের মরশুমে এইসব রকমারি মিষ্টির হদিশ পেয়ে খুশি ক্রেতারও। সকলেই বলছেন, ভোটের ময়দানে হার-জিত তো থাকবেই কিন্তু, সেই দুঃখে কাতর না হয়ে যায় এবং কর্মী সর্মথকদের উৎসাহ দিতে এই ভাবনা নেওয়া হয়েছে ওই মিষ্টান্ন প্রতিষ্ঠান থেকে। মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী বিশ্বজিৎ পাল বলছেন,অন্যান্য উৎসবের মতোই ভোটও তো একটা উৎসব। আর সে কারণেই বিভিন্ন দলের রঙের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সেই রকম সন্দেশ, রসগোল্লা নিয়ে চলে এসেছি আমরা। বড় বড় অর্ডারও পাচ্ছি। দামের ক্ষেত্রে নানা চাহিদা মেনে সেই অনুযায়ী দাম রাখা হয়েছে। গ্রামাঞ্চলে তো দামি মিষ্টির খুব একটা চল নেই তাই সাধারণ মানুষের সাধ্যের কথা মাথায় রেখেই রসগোল্লা, বোঁদে তৈরি করা হয়েছে। তবে আমাদের মনে হয় ফল ঘোষণার পর আরও চাহিদা বাড়বে।
এদিকে মিষ্টি নিয়ে কাজিয়া চলছে তৃণমূল, বিজেপির মধ্যে। পান্ডুয়ার তৃণমূল নেতা সঞ্জয় ঘোষের দাবি, ”মিষ্টি যে রঙেরই হোক মানুষ সবুজকে বেছে নিয়েছে।” এলাকারই বিজেপি নেতা অমিতাভ ঘোষ পাল্টা জবাব দিয়েছেন। তাঁর কথায় ,”শেষ কথা বলবে গেরুয়ায়। তাই গেরুয়া মিষ্টির চাহিদা থাকবে সব থেকে বেশি।”