ইউ এন লাইভ নিউজ: ভবানীপুরে ২৯ জন মেয়ে জামাইকে সঙ্গে নিয়ে জামাই ষষ্ঠী পালন করলেন মদন মিত্র। রাজ্যে ২৯ আসনে জিতেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাই ২৯ জন জামাইকে নিয়ে জামাইষষ্ঠী পালন মদনের। ভবানীপুরের ৬২ পল্লীতে করেছিলেন এলাহি আয়োজন। আর এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন হুগলি লোকসভা কেন্দ্রের নবনির্বাচিত তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ রচনা বন্দোপাধ্যায়। ভবানীপুরে ২৯ জন মেয়ে জামাইকে সঙ্গে নিয়ে শাড়ি ধুতি উপহার সহযোগে জামাইষষ্ঠী পালন করলেন মদন মিত্র ও রচনা বন্দোপাধ্যায়। কমতি নেই খাওয়া দাওয়াতেও। আম লিচু দই মিষ্টি নিয়ে পঞ্চ ব্যঞ্জন সাজিয়ে জামাইষষ্ঠী পালন করলেন মদন এবং রচনা।
এবারে হুগলি লোকসভা কেন্দ্র থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে জয়ী হয়েছেন রচনা। প্রথম টিকিট পেয়েছিলেন তিনি। প্রথমবারেই জয়ী হয়েছেন তিনি। রচনা বন্দোপাধ্যায় বলেন, “মদনদার এই অভাবনীয় উদ্যোগে মুগ্ধ হয়ে তার আমন্ত্রণের সাড়া না দিয়ে পারলাম না। খুব ভালো লাগছে এ ধরনের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পেরে। যাদের শ্বাশুড়ি নেই সেই তকমা ২৯ জন দুঃস্থ দম্পতিকে ডেকে জামাই ষষ্ঠী পালন করছেন তিনি।” এদিন জামাই ষষ্ঠীর অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সামনে তৃণমূলের তারকা বিধায়ক সোহমকে নিয়েও কথা বলেন রচনা। তিনি বলেছেন, “সোহম যেটা করেছে সেটা কাম্য নয় সেটা কখনো ঠিক কাজ নয়। তবে সে সময় কি ধরনের পরিবেশ পরিস্থিতি ছিল যে সোহম এ ধরনের কাজ করলো সেটা আমি জানি না। আমি সেই সময় উপস্থিত ছিলাম না তাই এ ব্যাপারে কোন মন্তব্য করতে পারব না।”
অন্যদিকে জামাইদের আদর আপ্যায়ণে বেশ ব্যস্ত দেখা গিয়েছে মদন মিত্রকে। তিনি বলেছেন, “আজকের অনুষ্ঠান থেকে মোদি বাবুর জন্য একটাই কথা, ‘এসো মোদি দেখে যাও, বাংলার কালচার বুঝে নাও’। মোদি বাবু ভোটের আগে এসে বারবার যে বলেন তারা বহিরাগত নয়, তারা কি জানেন কিভাবে কোন মন্ত্রে কোন নিয়মে জামাইষষ্ঠী পালন হয় বাংলার ঘরে ঘরে। তারা জানেন না বলেই আজ এই অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে আমি এবং রচনা প্রত্যেকের শ্বশুর শাশুড়ি সেজে জামাইষষ্ঠী পালন করছি ২৯ জনকে সঙ্গে নিয়ে।” তিনি আরও বলেছেন, “এখানে শুধু হিন্দু নয়, হিন্দু মুসলমান সর্বধর্ম সমন্বয়ে এই অনুষ্ঠান করা হচ্ছে। এখান থেকেই মোদিজিকে আরও একবার বোঝাতে চাই বাংলায় সব ধর্ম সব স্তরের মানুষ একসাথে থেকে যে কোন অনুষ্ঠান পালন করে। এটাই বাংলার সংস্কৃতি।”
Leave a Reply