নিউজ ডেস্ক: বাংলার রাজনীতিতে অনেকদিন ধরেই দুর্বৃত্তায়ন চলছে। আর বরদাস্ত নয়। দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে কোঠর ব্যবস্থা নেওয়া হুঁসিয়ারি দিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।
মঙ্গলবার রিষড়ার উপদ্রুত এলাকা ঘুরে দেখে রাজ্যপাল বলেন, “ঘটনার প্রকৃত কার্যকারণ জানতেই আমি এখানে এসেছি। যা বলা হচ্ছে তা কতদূর সত্যি তা দেখতে এসেছি। এবার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করব, সিদ্ধান্ত নেব। তার পর সলিড অ্যাকশন হবে। আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার দায়িত্বে যাঁরা রয়েছেন তাঁরা দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে কঠোরতম ব্যবস্থা নেবেন।”
রাজভবন সূত্রের খবর, রিষড়ার ঘটনা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব বিপি গোপালিকার সঙ্গে রাজ্যপালের কথা হয়েছে। তার পরই তিনি রিষড়ায় পৌঁছেছেন। তবে অনেকের মতে, রাজ্যপালের এদিনের কথার যে সুর ছিল তা অতীতের জগদীপ ধনকড়-সুলভ নন। কোনও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যের প্রতিফলন তাঁর কথায় ঘটেনি।
এরপরেই সাংবাদ মাধ্যমের মপখোমুখি হয়ে রাজ্যপাল বলেন, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় এ ধরনের দুর্বৃত্তায়ন কখনওই মেনে নেওয়া যায় না। বাংলার মানুষের শান্তিতে বেঁচে থাকার অধিকার রয়েছে। সেই অধিকার প্রতিষ্ঠিত করা হবে। তাঁর কথায়, এ ব্যাপারে কেন্দ্র ও রাজ্যের আলাদা কোনও রাজনৈতিক মত নেই। বরং কেন্দ্র, রাজ্য, সাধারণ মানুষ এবং সংবাদমাধ্যম সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধ ভাবে এই দুর্বৃত্তায়ন রুখে দিতে হবে।
Leave a Reply